অনলাইন ডেস্ক নিউজ :
ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায় ও ইউনিয়নে বিষমুক্ত ও কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়া সবজি চাষ করতে কৃষকদেরকে উৎসাহ যোগাচ্ছে ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছে কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে ও বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে কৃষিজমিতে (ড্রাম সিজর), আলোর ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। কৃষিজমিতে (ড্রাম সিজর), আলোর ফাঁদে ক্ষতিকর পোকা পড়ে মারা যায়। যার ফলে সবজি ক্ষতি করতে পারে না। এদিকে কৃষক ক্ষতিকর পোকা দমন করার জন্য কীটনাশক ঔষধের ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। এতে একদিকে কৃষকের টাকা সাশ্রয় হচ্ছে অপরদিকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদেরকে বিষমুক্ত সবজি আবাদে উৎসাহ যোগাচ্ছে লক্ষ্মীয়ারা ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন ও পাঁচগাছিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রণব চন্দ্র মজুমদার। মাথিয়ারা ২শ ৭০ শতক জমির মধ্যে লাউ, ২ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি, ৫০ শতক জমির মধ্যে মূলা, ২৫ শতক জমির মধ্যে টমেটো, ২০ শতক জমির মধ্যে বেগুন, ১৫ শতক জমিতে খিরা সহ বিভিন্ন সবজি বিষমুক্তভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। দক্ষিণ কাসিমপুর ও ইলাসপুরে মুগডাল, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজিও বিষমুক্তভাবে চাষ হচ্ছে। সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নে শত শত জমির মধ্যে বিষমুক্ত খিরা চাষ করা হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন উপজেলায়ও ড্রাম সিজর এর মাধ্যমে বিষমুক্তভাবে সবজি চাষ করতে কৃষকরা উৎসাহ পাচ্ছে।
মাথিয়ারা গ্রামের সফল কৃষক তোফায়েল ফেনীর সময় কে আহম্মেদ জানান, আমাদেরকে বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে ও জমিতে খরচ কমাতে সহযোগিতা করেছেন লক্ষ্মীয়ারা ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন ও পাঁচগাছিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রণব চন্দ্র মজুমদার।
কৃষি কর্মকর্তা মো: রাফিউল ইসলাম জানান, কৃষকদের মাঝে আধুনিকতার ছোয়া আনতে ও বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে কৃষিবিভাগ বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবু নায়েম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ফেনীর সময় কে জানান, কৃষকরা সবজি ক্ষেতে পোকা দমন করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে সবজিতে কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করে। এতে কৃষকের আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও এ উৎপাদিত সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ড্রাম সিজর পদ্ধতি ব্যবহার করলে কৃষক বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে পারবে আর কৃষককে কীটনাশক ঔষধ ক্রয় করার জন্য টাকা খরচ করতে হবে না।