আজহারুল হক :
রাত পোহালে পবিত্র ঈদুল আযহা। প্রতিটি পরিবারে ঈদের আনন্দ থাকলেও ব্যতিক্রম মিফতাহুল মালিহা আফরার পরিবারে। দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নেয়াজপুর নরপিশাচ স্বপনের হাতে ধর্ষণের পর হত্যার স্বীকার হয়ে মারা যায় পরিবারের একমাত্র মেয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে আফরাকে হারিয়ে শোকে পাথর পরিবারের লোকজন। মেয়ের ছবি দেখে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এদিক-সেদিক খুঁজে ফিরেন মেয়ের স্মৃতি।
মা আমুতুর রহীম ফেনীর সময়কে জানান, ‘আমার আদরের মা নেই ঈদও নেই। তারে ছাড়া আমি অসহায়। গত ঈদে মেয়েসহ একত্রে ঈদ করছি। আজ সে কবরে। তারে ছাড়া বাঁচা বড় দায়।’
বাবা ওসমান গনি জানান, এ বছর থেকে কুরবানি দেয়ার কথা ছিলো। গতবছরও মেয়ে গরু দেখতে এদিক-সেদিক অন্য বা”চাদের মত ছুটোছুটি করেছে। কিš‘ এ বছর আমার মেয়ে একা ঘুমিয়ে আছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর সর্বো”চ শাস্তি চাই। কোনভাবেই যেন সে বের হতে না পারে।
এদিকে আফরার আড়াই বছরের একমাত্র ছোট ভাই এখনো বুঝতে পারছেনা তার বোন পৃথিবীতে নেই। তবে সবসময় খুঁজে বেড়ায় আফরাকে।