নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি ক্যাটাগরি নির্বাচন ঠেকাতে ভূয়া অভিভাবককে এফিডেভিট দিয়ে মাহমুদুল হাসান নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে হাইকোর্টে প্রতারণা করেছেন বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান। এর প্রেক্ষিতে তার প্রতারণার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনে পুনরায় আপিল করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি ফেনীর সময় কে নিশ্চিত করেছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থীর বাবা আবু আহমেদ মজুমদার পেশায় বাবুর্চি হলেও তার সাক্ষর জাল করে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ভোটার তালিকাভুক্তি না হলেও মাদরাসার কাগজেকলমে তার মা অভিভাবক রয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর যৌথ বেঞ্চ দুই মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। আপিল আবেদনের সাথে জমা দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নাম্বার যাচাই করে মাহমুদুল হাসানের প্রতারণার তথ্য বেরিয়ে আসে।
অপর একটি সূত্র জানায়, মাহমুদুল হাসানের জালিয়াতির নেপথ্যে রয়েছেন মাদরাসার নূরানী শাখার প্রধান ফারুক আহমেদ। ওই শিক্ষার্থীর মায়ের সাথে ফারুকের কথোপকথনের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে ফারুক আত্মগোপনে গিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছুটি চেয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে তার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে আবেদন পাঠান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওই আবেদন গ্রহণ না করে মাদরাসা গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে যেতে পরামর্শ দেন।
এদিকে মাহমুদুল হাসান ও ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থগিত হওয়া নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের অভিভাবক প্রার্থী জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া।
প্রসঙ্গত; পূর্ব ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল সোমবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে দাখিল/ এবতেদায়ী স্তরে অভিভাবক সদস্য পদে এএইচএম ছানা উল্যাহ মুন্না হেলিকপ্টার, মো: নুরুল ইসলাম চশমা, জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া ফুটবল, মো: আলাউদ্দিন মাইক, মোহাম্মদ ইলিয়াছ টেলিফোন, মো: নুরুল ইসলাম টেবিল ফ্যান, মো: ফজলুল হক বাইসাইকেল, মো: সাখাওয়াত হোসেন টিউবওয়েল, ফাজিল/ আলিম স্তরে আবদুর রহমান দোয়াত কলম, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বই, কামিল/ মাষ্টার্স স্তরে মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মোরগ ও ইব্রাহিম খলিল মাছ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।
এর আগে শিক্ষক প্রতিনিধি ক্যাটাগরিতে ভোটাভুটিতে ফাজিল/আলিম স্তরে সাজিদা আক্তার ও দাখিল/ এবতেদায়ী স্তরে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে কামিল/ মাষ্টার্স স্তরে একক প্রার্থী মুহাদ্দিস মোশারফ হোসেন, দাতা সদস্য পদে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মো: নোমান শিকদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মনজুরুল ইসলাম ভূঞা বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।