শহিদুল ইসলাম :
ফেনীতে মিতা রানী নাথ (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারা রাস্তার মাথায় সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বললেও পুলিশের দাবী ওখানে কোন সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শি ও পরিবারের সূত্র জানায়, শনিবার বিকাল ৫ টায় প্রাইভেট পড়তে বের হয় ফুলগাজী সরকারি কলেজের একাদশ মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মিতা রাণী নাথ। প্রতিদিন সন্ধায় বাসায় চলে আসলেও এ দিন যথাসময়ে বাসায় ফেরেনি সে। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মিতা আহত হয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে খবর পায় পরিবার। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায় বলে জানা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ৯ টায় মিতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে এক তরুণ ও এক মহিলা। ওই তরুণের নাম অজয় সাহা। অজয় সাহা মিতার বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসকদের জানান, মিতা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হয়েছে। এরপর হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে সে। পরে বাড়ীতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানাযায়। এদিকে ফোনে কল দিয়েও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মিতা রাণী নাথের বড় বোন পূজা দেবনাথ ফেনীর সময়কে বলেন, “আমি ঢাকায় ছিলাম। মিতা প্রাইভেট পড়বে বলে বের হয়েছে। সে তো শহরে প্রাইভেট পড়তে বের হয়েছে। কিন্তু সে কিভাবে খাইয়ারা গেলো? সে তো বাহিরে যায় না। অথচ মিডিয়াগুলো প্রচার করতেছে সে খাইয়ারায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। আমরা এখনো ঘটনা জানি না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন,“ গতকাল নিউজটা পাওয়ার পর খাইয়ারা রাস্তার মাথাসহ আশপাশের যত এলাকা আছে, দুইটা পেট্রোল পাম্প, হাইওয়ে ফাঁড়িসহ খবর নিয়েছি, ওখানে সবাই বলছে ওখানে কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। এবং এত বড় একটা দূর্ঘটনা, তাহলে সেটাতো অন্তত জানার কথা। কিন্তু এ রকম কোন তথ্য পাইনি।”
মিতা রাণী নাথ উত্তর সহদেবপুরের বাসিন্দা তপন লাল নাথের ছোট মেয়ে। তার বাড়ী সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে।