নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার সেবা বন্ধ রেখে বসন্ত বরণ উৎসবে ডাক্তার-নার্সরা মেতে উঠার ঘটনায় সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। বুধবার দৈনিক ফেনীর সময় সহ একাধিক গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ভুক্তভোগী ছাড়াও বিভিন্ন মহল থেকে পত্রিকা অফিসে নানা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে নিন্দা জানিয়েছেন। অনেকে ভিডিওতে বিভিন্নরকম মন্তব্য এমনকি নিজ টাইমলাইনে শেয়ার করে প্রতিবাদ জানান।
সাংস্কৃতিক সংগঠক ও কবি শিখা সেন গুপ্ত মন্তব্য করেন, “ওদেরও বসন্ত এসে গেছে। ছাড়–ন না সাংবাদিক মহোদয়। কিছু রোগীও মরুক এ দুর্দান্ত হাসপাতালের বসন্তে।”
নুরুল কবির চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, “অনেকের লিখা দেখে মনে হলো দায়িত্ববোধ বলে কিছু নেই। আনন্দ করুন আপনি আপনার সময়মত। সবাইকে লজ্জায় ফেলে নয়।”
আইনজীবী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া লিখেছেন, “অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি।”
দলিল লেখক শামীম আনসারীর মন্তব্য, “এরা কারা, মানুষের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে উল্লাসে মেতে উঠেছে ?”
নারী সাংবাদিক নুর তানজিলা রহমান লিখেছেন, “অথর্ব, জ্ঞানহীন, হুজুগে বাঙ্গালী জাতি থেকে আর কি সভ্যতা আশা করা যায় ! অথর্বরা সুযোগ পেলেই তা থৈ তা থৈ দেখাতে পিছপা হয়না।”
জাকির আহমেদ লিখেছেন, “সবাইকে সাসপেন্ড করা উচিত।”
দেলোয়ার হোসেন নামে একজন লিখেছেন, “সরকারি চাকরি করে তারা সেবা প্রথমই দিতে হবে, নাচ গান বাসায় গিয়ে করুক, এটা হাসপাতাল- কোন নাচ গানের আসর না। সবকিছু সবার সাথে যায় না। বিনোদনের জন্য তারা বেতন ভাতা ছুটি সবকিছুই পায়। তাহলে ছুটি ব্যাতিত তারা আয়োজন করবে কেন?’
ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল আরিফ লিখেছেন, “হাসপাতালের ভিতরে এমন আয়োজন নৈতিক নয়, যদিও ডিউটি ডাক্তার, নার্স এবং দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ নিজ ডিউটি টাইম শেষ করে অবসর সময়ে এখানে এটেন্ড করে থাকেন। হে আপানারা হাসপাতালের ভিতরে না করে পাশে নার্স কলেজ আছে ঐখানেও করতে পারতেন। আর যেভাবে সাউন্ড হচ্ছে এতে মনে হচ্ছে অনেক মানুষের কষ্টের কারণ হয়েছে। হাসপাতাল কেউ দেখতে আসেনা এখানে সবাই সারাক্ষণ রুগীকে নিয়ে স্বজনরা টেনশনে থাকেন, আর রুগীর অবস্থা তো বলতে হবেনা।”
বিজয় নামে একজন লিখেছেন, “একটি সরকারি হাসপাতালে এটা কি শোভা পায়, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে ফেনীবাসির জিজ্ঞাসা! আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যসেবার মানুষগুলো দিন দিন কোথায় গিয়ে ঠেকছে? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”