নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে কিশোর গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় প্রায়শ ঘটছে মারামারি। উঠতি এসব কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। শনিবার ও রবিবার রাতে কিশোর গ্যাং এ জড়িত থাকার অপরাধে ১০ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন ফারদিন সহ ৫ জন রবিবার আদালতের মাধ্যমে ছাড়া পেয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাং এ জড়িতদের ধরতে শনিবার রাতে শহর সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। রাতে রিয়াজ উদ্দিন ফারদিন (২৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় হলেও শহরের নাজির রোডে দীর্ঘদিন বসবাস করে। ফারদিন ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার নেতৃত্বে স্থানীয় এল,এস,কে.বি গ্রুপ পরিচালিত হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া রবিবারও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে সদরের মোটবী ইউনিয়নের ইজ্জতপুর এলাকার ডা: জহর লাল রায়ের ছেলে নিলয় রায় (২২), সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউনিনের চরমজলিশপুর গ্রামের আবদুল হাই মেম্বার বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে আরাফাত (২২), চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নায়ের গাঁও এলাকার উত্তম ঘোষের ছেলে উৎস ঘোষ (২১), চৌদ্দগ্রাম থানার কেন্দুয়া এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির আবু সায়েদের ছেলে নাঈমুল ইসলাম (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় রামপুর পুরাতন পুলিশ কোয়াটার এলাকা থেকে এসডিকে গ্রুপের জাকারিয়া (১৬), ইয়াসিন (১৫), শান্তি কোম্পানী রোড থেকে এসআরডিএক্স গ্রুপের আব্দুল মহিত প্রিয়ান্ত (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮), ইমাম হোসেন (১৮), সিয়াম শেখ (১৬) কে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
একটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে থাকাকালে ফারদিন শহরের মিজান রোডে অন্তর নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে। ওই ঘটনায় রক্তমাখা চুরি সহ ফারদিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার ফারদিন সহ ৫ জনকে ৩৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশিকুর রহমান তাদের প্রত্যেককে ৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সদীপ রায় জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী কিশোর গ্যাং, মাদক সহ অপরাধ নির্মূলে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে।