নিজস্ব প্রতিনিধি :
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন তরুণ চিত্রশিল্পী ও সংগঠক তানিয়া ফারাবি তিশা। শুক্রবার দুপুরে ন্যাশনাল হসপিটাল চট্টগ্রামে তার মৃত্যু হয়। বৃস্পতিবার সকাল থেকে তিশার অবস্থার অবনতি ঘটে এবং বিকেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত ঘোষণার দুই ঘণ্টা পরে তার পালস ফিরে আসে। পরে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তিশাকে। সেখানে শুক্রবার দুপুর ২ টায় তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু ঘোষনার পর বাড়ীতে কবর খোড়া চালু করা হয়। শুক্রবার সকাল ১১ টায় তার জানাজার সময় নির্ধারন করা হয়।ফেনীর উকিলপাড়ার বাসায় জড়ো হতে থাকে আত্মীয় স্বজন, কান্নার রোল উঠে বাড়ীতে। মৃত ঘোষণার দুই ঘণ্টা পরে তার পালস ফিরে আসে এমন খবরে থমকে যায় সব কিছু। এলাকাবাসীসহ তার পিতার সহকর্মীরা আল্লার কাছে দোয়া করতে থাকেন। কিন্তু শুক্রবার দুপুর ২ টায় ডাক্তার তাকে আবার মৃত ঘোষনা করে। পূর্বের খোড়া কবরেই রাতে ১১ টায় কবর দেয়া হবে।
তিশার বাবা নুরুল আবসার রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘মৌলিক’ পত্রিকার সম্পাদক।
তিনি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তানিয়া ফারাবি তিশা ফেনী সরকারি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করার পর ঢাকা আর্ট কলেজে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন এবং একটি সিএ (চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্সি ) প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতেন। চারদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তাকে দেখাশোনার কেউ না থাকায় বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তানিয়া ফারাবি তিশার ফুপু ‘আঁচল’র সম্পাদক সাম্য লীনা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ঘোনা এলাকায়। শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করার কথা রয়েছে।
তিশার মৃত্যুতে দৈনিক কালের কন্ঠের ফেনী প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান দারা ফেইসবুকে লেখেন, তিশা ফেনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিত্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করতেন। গতবছর তিশা ও তার বন্ধুরা ফেনী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে গ্রাফিতি অঙ্কন করে শহরবাসীর প্রশংসা অর্জন করেন।