দৈনিক ফেনীর সময়

দাগনভূঞায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

দাগনভূঞায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

দাগনভূঞা প্রতিনিধি :

দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের দুধমুখা ছেরাজল হক আদর্শ মাদরাসার পাশে সিরাজ ব্রিকস এন্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানীর কার্যক্রম চলছে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ছেরাজল হক আদর্শ মাদরাসাটি বিগত ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১০ সালে সিরাজ ব্রিকস এন্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানী ইট ভাটা প্রস্তÍত ও ইট ভাটা স্থাপন আইন অমান্য করে মাদরাসার ১০ গজের মধ্যে যাবতীয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এসব দেখে ও না দেখার ভান করছে প্রশাসন। মাদরাসার ঘেষে ইট ভাটা নির্মাণ করার ফলে শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। ইট ভাটার নির্গত ধোঁয়ায় হাঁছি, কাশি, এ্যাজমা, এলার্জিসহ নানা ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা ও পথচারীরা সুরক্ষা পাচ্ছেনা। যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইট ভাটা প্রস্তÍত ও স্থাপন করা যাবেনা মর্মে ইট ভাটা প্রস্তÍত ও ইট ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ থাকলেও সেটি মানা হচ্ছেনা।

মাদরাসার শিক্ষার্থী, স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা জানায়, ইট ভাটা স্থাপনের সময় বাধা দেয়া হয়েছে। প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে জোরপূর্বক ইট ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। আশেপাশের বাড়ী গুলোতে বসবাস এখন মৃত্যুর ঝুঁকি হয়ে উঠেছে। দ্রæত এ ইট ভাটা উচ্ছেদ করে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি চৌধুরী মোমিন উল্যা জানান, ইট ভাটা বন্ধে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে জানিয়ে ও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি । সরকারের রেজিষ্ট্রেশন শাখা, পরিবেশন অধিদপ্তর ও প্রশাসন কিভাগে অনুমতি দিয়েছে তা আমার জানা নেই। অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানের পাশ থেকে ইট ভাটা উচ্ছেদ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মাদরাসার সুপার মো: ইব্রাহীম খলিল জানান, প্রতিবছরই দাখিল পরীক্ষার শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে মাদরাসাটি। মাদ্রাসায় মোট শিক্ষক কর্মচারীসহ ১৬ জন কর্মরত আছে। ৬০ শতাংশ সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৪ শতাধিক। ইট ভাটার কারনে লেখাপড়ার বিঘœ ঘটছে।

ইট ভাটা মালিকের ছেলে ইসমাইল জানান, আমরা অনুমতি নিয়ে ইট ভাটার পরিচালনা করে আসছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা সিরাজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করুন।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইট ভাটা স্থাপনের কোন নিয়ম নেই। তারপরও যাতে শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!