আজহারুল হক :
দাগনভূঞায় হঠাৎ করে বেড়েছে ডায়রিয়া ও জ্বরের প্রকোপ। জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, প্রতিদিন জ্বর এবং ডায়রিয়া’য় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন লোকজন। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। যাদের অবস্থা জটিল তারা হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আবার অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের নুসরাত জাহানের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মেয়ের ডায়রিয়া ও বমি। বুধবার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় এখানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছি।
হাসপাতাল মোড়ের বাসিন্দা মো: রুবেল জানান, তার ছেলে সাব্বির হোসেন ৬ দিন যাবত ডায়রিয়া সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। গতকাল তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়েছে।
জ্বর কাশি নিয়ে গতকাল বুধবার উত্তর জায়লস্কর এলাকার আকরাম উদ্দিনের ছেলে তাজবীদ উদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে নেবুলাইজার দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তৌহিদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে জ্বর-ঠান্ডা সহ ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে ডায়রিয়া ছাড়াও গরম ও ঠান্ডাজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নবজাতক শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে।
তার মতে, গরমে বেশি বেশি পানি পান জরুরি। কিন্তু ফুটপাতের পাশের খোলা শরবত বা অন্য কোনো কোমল পানি পান করলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে পানির স্বল্পতা দেখা দেয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীকে বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। অধিকাংশ ডায়রিয়া রোগীর ওষুধ প্রয়োজন পড়ে না। তবে সকলকে বিশুদ্ধ ও ফুটিয়ে পানি পান করতে হবে।