নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের নাজির রোডে সেপটিক ট্যাংক বিষ্ফোরণে নিহত তিন ভাইয়ের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার ভোরে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার পঞ্চকানন এলাকার মুন্সিবাড়ীতে লাশ পৌঁছার কথা রয়েছে। তাদের মৃত্যুর খবরে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারীতে এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নুর ইসলাম, আবদুর রহমান ও মনিরুলের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। পরে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। নিহতদের ছোট ভাই কাজী আল আমিন, নিহত নুরুল ইসলামের বড় ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, ছোট ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ভাগ্নে আবদুল্লাহ আল নোমান ও তাদের এলাকার এক জনপ্রতিনিধি সহ ৯ জন আত্মীয়-স্বজন লাশ গ্রহণ করেন।
কাজী আল আমিন জানান, মঙ্গলবার রাতে ফেনী পৌছার পর থানায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হয়। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স যোগে তিন ভাইয়ের লাশ নিয়ে পঞ্চকাননের উদ্দেশ্যে রওনা হই। মুন্সিবাড়ী পৌঁছতে বৃহস্পতিবার ভোর হয়ে যেতে পারে। তিন ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন বাড়িতে জড়ো হতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মুন্সীবাড়ী প্রাঙ্গনে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, তিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী যেটি দেখিয়েছেন অতুলনীয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। লাশ দাফন ও পরিবহন খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়েছেন। এটি আমরা সারা জীবন মনে রাখবো। স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম তানজিম ভাইও যথেষ্ঠ সহায়তা করেছেন। এছাড়া ফেনীর পুলিশ প্রশাসন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আইনীভাবে সহযোগীতা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাড়ির মালিক রুহুল আমিনও সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন। আমরা সারাজীবন ফেনীর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবো।