দৈনিক ফেনীর সময়

নাশিতের স্কুল ব্যাগে পাথর ভর্তি করে ডোবায় ফেলা হয়, তিন বন্ধু গ্রেফতার

নাশিতের স্কুল ব্যাগে পাথর ভর্তি করে ডোবায় ফেলা হয়, তিন বন্ধু গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনীতে মুক্তিপণ না দেয়ায় আহনাফ আল মাঈন নাশিত নামে ১০ বছর বয়সী শিশুকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নাশিতের লাশ শহরতলীর দেওয়ানগঞ্জ ড্যাম্পিং থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে রোমহর্ষক এ ঘটনার বর্ণনা দেন।

পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান জানান, গত রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেট শেষে নাশিত বাসায় না ফেরায় ফেনী মডেল থানার সাধারণ ডায়েরী করা হয়। ওইদিন রাতে দুস্কৃতিকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ-এ বিভিন্ন মেসেজের মাধ্যমে মুক্তিপণ বাবদ তার বাবা মাঈন উদ্দিনের কাছে ১২ লাখ টাকা দাবী করে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এরপর নাশিতকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শহরের আতিকুল আলম সড়ক থেকে আশরাফ হোসেন তুষার (২০), বিসিক এলাকা থেকে মো: মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিফাত (২০) কে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, ওইদিন রাতে তুষার ও ওয়াসিম সু-কৌশলে নাশিতকে আতিকুল আলম সড়ক থেকে সালাউদ্দিন মোড় সংলগ্ন রেললাইনে নিয়ে যায়। সেখানে ওমর ফারুক রিফাতও একত্রিত হয়। পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবীর পর জুসের সাথে নিশাতকে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ানো হয়। ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাড়ী যেতে কান্নাকাটি করলে রেললাইন সংলগ্ন ঝাউবনে নিয়া তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরবর্তীতে লাশ গুম করতে স্কুল ব্যাগের ভিতর পাথর ভর্তি করে নিশাতের কাধে চাপিয়ে ঝাউবন সংলগ্ন কুচুরিপানা ভর্তি ডোবায় লাশ ফেলে দেয়। নিশাতকে হত্যার করার পরও তুষার, ওয়াসিম ও রিফাত মুক্তিপনের টাকা দাবি করতে থাকে।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতদের তথ্যমতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!