নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে বন্ধুর বন্ধন বাংলাদেশের যাকাত প্রদান অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, বন্ধুর বন্ধন শুধু ফেনী নয় বরং সারাদেশের মানবতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত। বন্ধুর বন্ধন’র সদস্যরা কার্যকরী যাকাত প্রদান করছেন। তারা আপনাদেরকে চাল-ডাল, কাপড়-ছোপড় দিতে পারতেন। কিন্তু এমন জিনিস দিচ্ছেন আপনাদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এটি সারা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত। ইসলামের যে ৫টি বিধান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যাকাত। যাকাত আদায় করা আল্লাহর আদেশ। যাকাত প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সম্পদ পরিশুদ্ধ হয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র সম্পদশালীরা যাকাত প্রদান করতে হবে। ফেনীর দারিদ্রতা একসময় জাদুঘরে চলে যাবে। একসময় ফেনীর যাকাত অন্য জেলায় পাঠিয়ে দিতে হবে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। বন্ধুর বন্ধন’র ফেনীর সদস্য হিসেবে আমি নিজেকে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করবো।
আজ শুক্রবার বিকালে ‘যাকাত দান ও করুণা নয়, এটি নির্দিষ্ট শ্রেণির অধিকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বন্ধুর বন্ধন বাংলাদেশ’র ২০তম যাকাত প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল অডিটোরিয়ামে সংগঠনের সভাপতি জিএম তাজ উদ্দিন পলাশের সভাপতিত্বে ও যাকাত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো: সাহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
বক্তব্য রাখেন বন্ধুর বন্ধন বাংলাদেশ’র প্রধান সংগঠক নাজমুল করিম ভূঁইয়া সুমন ও সদর উপজেলা বন্ধুর বন্ধন বাংলাদেশ’র সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস আনোয়ার মজনু ও মো: সেফায়াত হোসেন।
সংগঠন সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বন্ধুর বন্ধন বাংলাদেশ ৮ লাখ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী যাকাত প্রদান করেন ।এর মধ্যে ৩৮টি সেলাই মেশিন, ৬টি গভীর নলকূপ, ৩২ বান ঢেউটিন ও ৩৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।