নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে মাঠ সংকটের সমাধানে এগিয়ে এসেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। জেলার একমাত্র ভাষা শহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়াম শুধু জেলা পর্যায়ের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা নয়, বিভাগীয় এমনকি জাতীয় আসরও বসে। ফলে ছোট্ট পরিসরে এসব আয়োজন নিয়ে হিমশিম খেতে হয় আয়োজকদের। স্টেডিয়ামের সংকট কাটাতে ফেনীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। খুব দ্রæতসময়ে শহরতলীর লালপোল সংলগ্ন গোবিন্দপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন স্থানে স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর মৌজায় প্রায় ২০ একর অনাবাদি জায়গায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির (এনএপিডি) মহাপরিচালক (সরকারের সচিব) সুকেশ কুমার সরকার প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন। এসময় এনএপিডি সহকারি পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আলী রেজা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারি পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুকুমার সাহা, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লিখন বনিক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম জায়গাটি ঘুরে দেখান। স্টেডিয়ামের ডিজাইন তৈরির জন্য প্রফেশনাল এসোসিয়েটস লিমিটেডকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এনএপিডি মহাপরিচালক সুকেশ কুমার সরকার জানান, ফেনীতে স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। মঙ্গলবারের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ডিজাইন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল এসোসিয়েটস প্রতিবেদন জমা দিবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার জানান, ফেনীতে পূর্ণাঙ্গ জেলা স্টেডিয়াম দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণ করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার আসর করতে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিভল, অ্যাথলেটিকস সহ সবধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে। এর মাধ্যমে ফেনী থেকে খেলোয়াড় তৈরি, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের জমজমাট আসর বসবে। সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সার্বিক নির্দেশনায় আশা করছি- দৃষ্টিনন্দন একটি স্টেডিয়াম ফেনীবাসী পাবে।
কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম জানান, জেলা স্টেডিয়াম তৈরির জন্য তার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় পতিত জমি নির্বাচন করা হয়। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে এখানে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাধূলার সুযোগ সৃষ্টি হবে।