নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী দিঘীতে রাতের আঁধারে জাল দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিঘীর ইজারাদার মৎস্য চাষী আবুল হাশেম ভূঞা এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
ভুক্তভোগী আবুল হাশেম ভূঞা জানান, গত ৬ বছর ধরে শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিণ খানে বাড়ি মৌজায় ছোট মোহাম্মদ আলী দিঘী লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত পাঠানপাড়ায় হওয়ায় লিজ নেয়া দিঘীর পাড়ে দারোয়ান থাকার জন্য ও মাছের খাদ্য গুদাম করার জন্য একটি টিনশেড ঘর নির্মান করা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। লিজের মেয়াদ ৬ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় চলতি বছর পুনরায় আবার ৩ বছরের জন্য ইজারা নবায়ন করে মৎস্য চাষ চলমান রয়েছে। চাঁদা না দিলে দিঘী ছেড়ে চলে যেতে বিগত ১০-১৫দিন ধরে দুর্বৃত্তরা মৎস্য চাষী আবুল হাশেমকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে দিঘীর পাড়ে খাদ্য গুদাম ও থাকার ঘর ভেঙ্গে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। ৯শ ৩ শতাংশ এ দিঘীতে সম্ভাবনাময়ী মৎস্য চাষ ব্যাহত হওয়ায় এলাকাবাসীও আতংকে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, দিঘীতে যাওয়ার প্রায় ৩শ বছরের পুরাতন পথও রাতের আঁধারে কেটে ফেলার হুমকি দেয়। রাস্তা কাটার খবর পেয়ে হাশেম বিষয়টি আর গোপন না রেখে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা কাটতে নিষেধ করলে তারা ঘর ভেঙ্গে ফেলার জন্য যায়। পুলিশের বাধার মুখে ঘর ভাঙ্গতে না পেরে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। কিন্তু গভীর রাতে তারা দারোয়ানের হাত-পা বেঁধে রেখে দিঘীর খাদ্য ও গুদাম ভেঙ্গে ঘর থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের ৫ টন খাদ্য নিয়ে যায়। ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি মোটর নিয়ে যায়। ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডিজিটাল এক্সেল মাপার যন্ত্র নিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা তাকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান দারোয়ান থাকার ঘর ও খাদ্য গুদাম ভেঙ্গে ফেলা হয়। এছাড়া দিঘীতে থাকা মাছ লুট করা হয়। দুর্বৃত্তদের এমন নৈরাজ্য দেখে ভেঙ্গে পড়েন। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
ফেনী মডেল থানার এসআই মো: রবিউল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘর গুটিয়ে দিয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে।