দাগনভ‚ঞা প্রতিনিধি :
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২০ সালের জন্য কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন তথা সিআইপি হয়েছেন সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী দাগনভূঞার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। এর আগেও তিনি ২ বার সিআইপি মনোননীত হয়েছিলেন। সিআইপি হিসেবে তিনি চলতি ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর বিভিন্ন ধরনের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নাসির উদ্দিনসহ ৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে গত ১৪ ডিসেম্বর সিআইপি নির্বাচিত করে গেজেট প্রকাশ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সিআইপি হওয়া ব্যক্তিরা সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এছাড়া দেশ-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়াও ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধাসহ আরও বেশকিছু সুবিধা সিআইপিরা পাবেন।
নাসির উদ্দীন দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আলীপুর গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি তার নিজ উপজেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহায়তা প্রদান, বিনামূল্যে অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও করোনাকালে তিনি তার এলাকাসহ বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থেকে সহায়তার হাত বাড়ীয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।