নিজস্ব প্রতিনিধি :
একসময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ের পিয়ন ছিলেন ইকবাল হোসেন। তার মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে ওই পদে নিয়োগ পান ইকবালের স্ত্রী আছমা আক্তার। তার চাকুরী স্থায়ী করার আশ্বাস দিয়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
বুধবার ফেনীর সময় এর সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আছমা। তার বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের বাদুরিয়া এলাকায়। আছমা বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় তাকে ইকবালের মৃত্যুর পর এককালীন টাকা কিংবা তদস্থলে মাষ্টার রোলে চাকুরীর কথা জানান। তখন আছমা চাকুরী বেছে নেন। সেই হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ফেনী আলীয়ায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী শুরু করেন। চাকুরী স্থায়ী করতে অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান হুজুরের আশ্বাসে গ্রামীন ব্যাংকের কুঠিরহাট শাখা থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেন। ২০২২ সালে ওই টাকা অধ্যক্ষকে দিলেও তিনি চাকুরী স্থায়ী করতে গড়িমসি করেন। সোমবার এ বিষয়ে হুজুরের (মাহমুদুল হাসান) স্ত্রী টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই টাকা ব্যাংকে জমা আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আছমা আরো বলেন, বছরখানেক তার বর্তমান স্বামী দূর্ঘটনায় পায়ে গুরুতর আহত হয়েছে। তার চাকুরীর বেতনের টাকায় দুই সন্তান সহ চারজনের সংসার চলে।