নিজস্ব প্রতিনিধি :
বরেণ্য রাজনীতিক ‘গোলাপ চৌধুরী’ হিসেবে সুপরিচিত আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আজিজ চৌধুরী ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে মারা যান। প্রথমে জেলা পরিষদ প্রশাসক হয়ে পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমৃত্যু চেয়ারম্যান ছিলেন।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। শহরের স্টেশন রোডে দীর্ঘজীবন বসবাস করলেও তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করার পর শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। কিছুদিন পর রাজনীতি আর সমাজসেবায় সক্রিয় হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বপালনকালিন সময়ে ১৯৯৪সালে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭৩ সালে ছাগলনাইয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৭৯ থেকে ৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও ৮৪ সাল থেকে ৯৯ সাল পর্যন্ত সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সভাপতি আবুল কাশেম মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে জাতীয় পরিষদ সদস্য মনোনীত হন।
জীবদ্দশায় ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ছিলেন। নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শাহ আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের আমৃত্যু সভাপতি। এছাড়া ফেনী ডায়াবেটিক সমিতি, রোগী কল্যাণ সমিতি, প্রবীণ হিতোষী সংঘ সহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বাবা সুলতান আহম্মদ চৌধুরীর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন ‘সুলতান এন্ড সন্স’। বড় ছেলে চৌধুরী আহমেদ নওশাদ আজিজ রাজন রাজধানীর ব্যবসায়ী ও ছোট ছেলে চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।