নিজস্ব প্রতিনিধি :
দেশে শান্তি রয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘এটাই প্রকৃত শান্তি নয়। আল্লাহর আইন চালু হলেই শান্তি পাওয়া যাবে। মানুষের গোলামি থেকে মানুষকে বের করতে হবে। আল্লাহর গোলামিতে আনতে হবে।’
বুধবার সকালে ফেনী শহরের দক্ষিণ চাঁড়িপুর এলাকায় বন্যা দুর্গত মানুষকে উপহার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোট দিতে পারিনি। কথা বলতে পারিনি। জিনিসপত্রের দাম দুষ্পাপ্য হয়েছে। কোনো এক জায়গায় দাঁড়ালে উগ্রবাদী তকমা দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। একটি মাস ছাত্ররা বৈষম্যের বিরুদ্ধে তথা জালেমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সেটি বিজয় লাভ করেছে। অনেকের জীবন চলে গেছে। কত হাজার মানুষ চোখ হারিয়েছে। তারা জীবন দিয়ে জালেম থেকে মজলুম মানুষকে মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য আসেনি। তাদের কাজ সংস্কার করা। সংস্কার মানে অন্যায়-খারাপ লোককে সরিয়ে ভালো লোককে বসাতে হবে। যাতে মানুষের ওপর ইনসাফ করে। যৌক্তিক সময় ছয় থেকে নয় মাস কিংবা এক বছরের মধ্যে তারা করবে। কম সময়ের মধ্যে সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি। ইতিহাস আছে ক্ষমতার লোভ পেলে নিজেরাই ক্ষমতা দখল করবে। আর্মিরা নিজেরা দখল করে দেশ শাসন করছে। এরশাদের খবর সবার জানা। বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের ভিত্তিও ওভাবে হইছে। ক্ষমতার লোভে পড়ে জালেমের দিকে নিয়ে চলে যাক সেটা আমরা চাই না। ক্ষমতার লোভ পেলে জুলুম জায়েজ যেন না হয়।’
অনুষ্ঠানে ১২নম্বর ওয়ার্ড আমির মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা আমির এ.কে.এম শামছুদ্দীন।। এসময় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হান্নান, শহর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় জামায়াত নেতা গোলাম সারওয়ার সোহাগ, ওয়ার্ড শিবির সভাপতি শরীফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।