নিজস্ব প্রতিনিধি :
আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও ফেনীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়া কিংবা দল মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও অনেকে দলীয় সমর্থন পেতে জেলা আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকদের কাছে ধর্না দিতে শুরু করেছেন। জেলা আওয়ামীলীগের গঠিত তিন সদস্যের টিমের কাছেও নাম লিখিয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে আলোচনায় থাকা অনেকেই নির্ধারিত ফি দিয়ে ওই রেজিষ্ট্রার খাতায় নাম লেখাননি। এদের একজন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মিলন অন্যজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ব্যাংকার মনোয়ার হোসেন সেন্টু। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তারা দু’জনই আলোচনায় রয়েছেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হন মামুনুর রশিদ মিলন। এরপর এলাকামুখী রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকেন। ওই ইউনিয়নের তিনবারের চেয়ারম্যান মিলন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন বঞ্ছিত হন। শোনা যায়- সেবার তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার আশ্বাস দেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনেও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতনের রাজনীতির কাছে হেরে যান। এরপর নিজাম উদ্দিন হাজারী তাকে শান্তনা স্বরূপ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত করেন। এবারও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলের সমর্থন প্রত্যাশী ছিলেন। তার সমর্থকরা উপজেলা জুড়ে প্রচার-প্রচারণা করলেও শেষমুহুর্তে দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ না নেয়ায় তার প্রার্থীতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একসময়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মনোয়ার হোসেন সেন্টুকে ঘিরে তার বন্ধু-শুভাকাঙ্খীরা সক্রিয় রয়েছেন। তিনি কৌশলী প্রচারণায় রয়েছে বলে ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। সম্প্রতি তার আয়োজনে একটি ইফতার মাহফিলে বন্ধু-শুভাকাঙ্খীদের সরব অংশগ্রহণ নির্বাচনে প্রার্থীতার গুঞ্জন আরো ডালপালা মেলে। ইতিমধ্যে তিনি ব্যাংক ম্যানেজারের চাকুরী ইস্তফা দেয়ায় তার প্রার্থীতার সম্ভাবনা আরো জোরালো হয়।
মিলন ও সেন্টুর ঘনিষ্ঠদের দাবী, আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড থেকে বরাবরই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়া এবং দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। এজন্য মিলন ও সেন্টু জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী মনোনয়ন টিমের খাতায় নাম লেখাননি। এক্ষেত্রে তারা জেলার রাজনীতির গতিবিধি পর্যবেক্ষন করছেন। দলের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ পরিবেশ পেলে তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।