আজহারুল হক :
দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের কাটাখালী নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। এতে করে বেকেরবাজার-জর্বাপুকুর সড়কটি নদী গর্ভে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকে রয়েছেন। খবর পেয়ে বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকমাস আগেই প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দে বেকেরবাজার থেকে জর্বাপুকুর পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হয়। শুধুমাত্র কাজী বাড়ি ও আকবর ফকির বাড়ির মধ্যবর্তী কাটাখালী খাল সংলগ্ন রাস্তার অংশ নিয়ে এলজিইডি আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠেলাঠেলিতে ওই অংশে কাজটি থমকে যায়। এলাকাবাসী নদীর গতিপথ পরিবর্তনের দাবি জানালে ওই জায়গায় আরসিসি গার্ড ওয়াল করে ব্লক বসানো হয়। কিছুদিন আগে বন্যায় পুরো নদীর পানি সেখান দিয়েও নেমেছিলো। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তায় ভাঙনের দৃশ্য স্পষ্ট হয়। ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামতে যাওয়ায় ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিনের নজরে পড়ে।
নুরুল আমিন জানান, মেরামত করার সময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এলজিইডি অফিস বা পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে খুব বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, ওই জায়গা নিয়ে আগ থেকেই সমস্যা ছিলো। তারপরও আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি যেন দ্রুতই কাজ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, জায়গাটি পরিদর্শন করে স্থানীয় প্রকৌশলীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।