নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’য়ের আঘাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় এলাকা চরএলাহী, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরহাজারী, চরপার্বতী, চরকাঁকড়া, সিরাজপুর ও রামপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু অংশ। চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ১৫০পরিবার অতিরিক্ত জোয়ারের পানিবন্ধি হয়ে আছে এখনও।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’য়ের আঘাতে পল্লী বিদ্যুতের (আরইবি) ২১টি খুঁটি উপড়ে-ভেঙে ও হেলে পড়েছে। শতাধিক বিদ্যুৎ মিটার অকেজো, ২২টি স্থানে ক্রস আর্ম অকেজো এবং ২৫০টি স্থানে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বুধবার বিকেল নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে বলে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
উপকূলীয় চরএলাহী, চরফকিরা, মুছাপুর, চরকাঁকড়াসহ ৮টি ইউনিয়নে কয়েক শতাধিক কাঁচাঘর ঝড়ো বাতাসে এবং গাছ পড়ে ভেঙে গেছে। এসকল এলাকায় শতাধিক মৎস্য খামার ও পুকুরের মাছ অতি মাত্রায় জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। চরএলাহী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের একটি খামারে ২শ মোরগ ও ঘর পড়ে ৩টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
চরএলাহী ইউনিয়নে সদ্য নির্মিত চরল্যাংটা-চরএলাহী বেঁড়িবাঁধ অত্যাধিক জোয়ারের তোড়ে ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় চরএলাহী বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, তহসিল অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় চলতি আমন মৌসুমের অন্তত ১হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত আছে, ১৫০ হেক্টর জমির শরৎকালীন সবজি এবং ২৫০ হেক্টরের বেশি আগাম শীতকালীন সবজির জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী জেলা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভুইঁয়া ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।