fenirshomoy logo black

মো. মাঈন উদ্দীন

একটি অর্থ বছর শেষ হতে চলেছে। যা অনেক ঘটনা বহুল পর্যদস্ত অর্থবছর। যে অর্থবছরের অনেকটা শুরুতেই এদেশের বিপ্লবী জনগন বিদায় করে দিয়েছে স্বৈরাচারী সরকারকে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই চলতি অর্থবছরের বাজেটের অনেক কিছু সংশোধন,বিয়োজন ও সংযোজন করতে হয়েছে। উঠে এসেছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র। ফলে রাজস্বও কাঙ্খিত মানে আদায় হচ্ছে না। এদিকে প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে ২০২৫-২৬ অর্থবছর। পেশ করতে হবে নতুন বছরের বাজেট। যে বাজেট ঘিরে রয়েছে অনেক আশা ভরসা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের এটি হবে প্রথম বাজেট। বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। জানা গেছে, টেলিভিশনের পর্দায় ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা বাজেট ঘোষণা করবেন। এবারের বাজেটে নজর থাকবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জ্বালানি সাশ্রয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে। বড় তেমন কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না।

সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় ভাতা কিছুটা বাড়ানো হবে। যদিও রাজস্ব সংগ্রহের বড় কোনো উৎসের সন্ধান না পাওয়ায় আগামী বাজেট তেমন বড় করা হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। তবে আমরা আশা করি আসন্ন বাজেটটি বাস্তবভিত্তিক হবে, উচ্চ ভিলাসী হবে না। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি (নিয়ন্ত্রণকে) প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট করতে যাচ্ছি। এছাড়া নজর থাকবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জ্বালানি সাশ্রয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বাজেটে। চাইব মানুষের জীবনযাত্রা যেন সহজ হয়।’ আমরা আশা করি উপদেষ্টার এ বক্তব্য বাজেটে প্রতিফলন ঘটবে।

উন্নয়ন বাজেট : সরকার ব্যয় কমাতে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট তথা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে এডিপি ২লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায় নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে সরকারের অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের অর্থায়ন কমে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকায় নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটা সূত্র থেকে জানা যায়, আগের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরম্নত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দই আগামী অর্থবছরে কমছে। এদিকে সবচেয়ে কম বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত হলো প্রতিরক্ষা।বাংলাদেশের প্রতি বছরের বাজেটের অঙ্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে এডিপির বড় ভূমিকা থাকে। তবে এবার ব্যতিক্রম হচ্ছে। প্রতি বছর উন্নয়ন বাজেটের আকার বাড়লেও বছর শেষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস শেষে উন্নয়ন বাজেটে এডিপি খরচ হয়েছে মাত্র ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ : আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা ৯–১০ শতাংশের ঘরে রয়েছে। সূত্রগুলো জানায়, নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় এ হার আরও কমবে বলে সরকার আত্মবিশ্বাসী। তবে চ্যালেঞ্জ হল রাজস্ব আয় বাড়ানো। রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়াতে হবে। খেয়াল রাখা উচিত যাতে মানুষের ওপর অহেতুক করের বোঝা না বাড়ে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। শহর ও গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি। মূল্যস্ফীতির চাপে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে সঞ্চয় ভেঙে খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি আরেক দফা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য। মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যেই জিডিপির হার কম রাখা হবে। আসন্ন বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করবে। যদিও এডিবি আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের আশপাশে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মার্চে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি কমাতে অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে বাজেট ছোট রাখা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার নিচে থাকলে সাড়ে ছয় শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি এমনটি থাকবে বলে মনে করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রাজস্ব আদায়: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আগামী অর্থবছরে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে, যা চলতি বাজেটে ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্য কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ টাকা, কিন্তু আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব-ঘাটতি ৫৮ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ২১ শতাংশ।
জিডিপি : আগামী অর্থবছরের বাজেটে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জিডিপির হার বাড়ানো বা অর্জনকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মতে, বিগত সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বেশি হলেও এর সুফল সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছেনি। এখন প্রবৃদ্ধি বেশি বা কম সেদিকে নজর নয়, কিভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্রগুলো জানায়, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বাজেট–ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে রাখা হবে। আগামী অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কিছুটা কমিয়ে ইতিমধ্যে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে থাকবে।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান : ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবছরের বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাজেট সমতাভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের দিকে নজর দিয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি হওয়া উচিত। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তারা বলেছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, এমন বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস ও পণ্যের সরবরাহও ঠিক রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের কারণে সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প খাতে যেন কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য নিম্নোক্ত কৌশলগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে : ১. বিনিয়োগ বান্ধব কর কাঠামোর ব্যবস্থা করা।

কর হ্রাস : নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও এসএমই খাতের জন্য কর হ্রাস বা কর ছুটির ব্যবস্থা করা। বিদেশি বিনিয়োগ : বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ঝঊত)-এ কর সুবিধা ও সহজ নিয়ম চালু করা। শিল্প ঋণ সহায়তা : রপ্তানিমুখী ও উচ্চ-কর্মসংস্থান খাতে স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান। ২. অবকাঠামো উন্নয়ন : পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) প্রকল্প বৃদ্ধি: পরিবহন, জ্বালানি ও লজিস্টিকসে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। ডিজিটাল অবকাঠামো : হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও টেক-হাব তৈরিতে বাজেট বরাদ্দ থাকা উচিত। ৩. কর্মসংস্থান সহায়তা : দক্ষতা উন্নয়নের জন্য যুব ও নারীদের জন্য টেকনিক্যাল এডুকেশন ও ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম জোরদার করা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ থাকা দরকার।

স্টার্টআপ ফান্ড : তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু করাও শ্রমঘন শিল্প বিশেষ করে পোশাক, আইটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার দেয়া। ৪. খাতভিত্তিক সহায়তা : কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি, সেচ ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণে ভর্তুকির ব্যবস্থা, তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব কারখানা ও ডিজাইন ইনোভেশনে সহায়তা প্রদান। পাশাপাশি আইটি ও ডিজিটাল ইকোনমি উন্নয়নে সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য ট্যাক্স হোলিডের ব্যবস্থা করা। ৫. সুবিধাজনক নীতি : ব্যবসায়ের সহজতার জন্য লাইসেন্সিং ও নিয়মকানুন সরলীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনয়নের জন্য নতুন পণ্য ও বাজারে প্রবেশে প্রণোদনার সুযোগ তৈরি করা দরকার। স্থিতিশীল মুদ্রানীতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিময় হার ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া। ৬. সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানো ও গরিব ও অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য কাজের সুযোগ (যেমন: গ্রিন জবস, রিসাইক্লিং) সৃষ্টির বিষয় বাজেটে নির্দেশনা থাকা চাই নারী শ্রমিকদের জন্য চাইল্ডকেয়ার সাপোর্ট ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার বিষয় গুরুত্বারোপ করা উচিত। কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য জ্বালানি ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ (সৌর, বায়ু) করে দীর্ঘমেয়াদি শিল্পের ভিত্তি তৈরি করা দরকার।
বাজেটকে গণমুগী ও বাস্তবতার আলোকে কার্যকর করতে হলে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ টাকায় উন্নীত করা উচিত। মুদ্রানীতির পুনরুদ্ধার এখন নীতিনির্ধারকদের অন্যতম প্রধান কাজ। এটি অর্জনের জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা এবং আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা জরুরি হয়ে পড়েছে।আগামী বাজেটে রাজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত করতে হবে।আগামী অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও কলেজের করপোরেট কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা উচিত। বাজেটে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিনিয়োগ এবং শিল্প-বান্ধব নীতিমালা প্রাধান্য পেলে ২০২৫-২৬ সালে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আমলাতান্ত্রিক সংস্কারও অপরিহার্য।

লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ব্যাংকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!