নিজস্ব প্রতিনিধি :
৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর শহীদ হওয়া দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কৌশল্যায় শহীদ সাইফুল ইসলাম আরিফের বাড়িতে এখনো কান্নার রোল।
সোমবার বিকালে বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ছেলের কথা মনে উঠতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাবা আলতাফ হোসেন। ঘরে প্রবেশের পর ভিতর থেকে মায়ের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কিছুতেই এলাকার মানুষ তাদের কান্না থামাতে পারছেন না। একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোক এখনো ভুলতে পারছেন না তারা।
পরিবার সূত্র জানায়, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সামিল হয় চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায়। আন্দোলনের অংশ নিয়ে সে পুরো শরীরে গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে লুটে পড়েন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথা, মুখে ও বুক সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই শতাধিক ছররা গুলিতে ঝাজরা হয়।
আলতাফ হোসেন ফেনীর সময় কে জানান, ছেলে হারানোর বেদনা কত বেশি যন্ত্রণার সেটি ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝার সুযোগ নেই। আমার ১ ছেলের পর ৩টি মেয়ে। আমার ছেলে আমার লাশ কাঁদে বহন করবে এমনটা আশা ছিল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
খুনীদের বিচার দাবী করে তিনি বলেন, দেশের জন্য আমার ছেলে জীবন দিয়েছে। সেই দেশ যেন কল্যাণকর দেশ হয় এটি আমাদের কাম্য। এই দেশে যেন আর কোন ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয় সেটি জীবনের বিনিময়ে চাওয়া। ছেলে আর কখনো ফিরে আসবে না। আমরা একটি সুন্দর দেশ চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম স্বপন জানান, এলাকার কেউ গেলেই শহীদ আরিফের বাবা-মা ডুকরে কেঁদে উঠেন। তাদের শান্তনা দেয়ার ভাষা কারো নেই। পৈশাচিক কায়দায় এমন হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। শহীদের পরিবার সহ এলাকাবাসী শহীদ আরিফের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করেন।