নিজস্ব প্রতিনিধি :
‘আপনি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলেজের অধ্যক্ষ, প্রবাসী, প্লিজ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান, স্পন্সর করেন, উদ্বুদ্ধ করেন। সিসিটিভি ক্যামেরা এখন অনেক সহজলভ্য। জন্মদিনের গিফট অন্যকিছু না দিয়ে একটা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে দেন। গলির মুখে, আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং কাভার করে, মেয়েদের স্কুলের রাস্তা কাভার করে, মাদরাসার সামনে, মন্দিরের চারপাশ কাভার করে, সব জায়গায়।’
সোমবার কিশোর গ্যাং দমনে নিজ ফেসবুক ওয়ালে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী জেলা পুলিশের উদ্যোগে কিশোর গ্যাং ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কাছ থেকে এলাকাভিত্তিক এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিশোর গ্যাং কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে ডাটাবেজ থেকে তার নামও বাদ দেয়া হবে। জেলার ৬ থানা ও নিজ নিজ এলাকায় বীট অফিসারগণকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা জানান, গ্যাং কালচার অপরাধ নির্মূল করতে নানামুখী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জনজীবন বিঘিœত হয় এমন কাজ কোনভাবেই করতে দেয়া হবে না। কিশোর গ্যাংয়ের খবর পেলেই তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আইনের আওতায় আনছে।
তিনি আরো বলেন, ডাটাবেজ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। নিজকে শুধরে নিলে ডাটাবেজ থেকে নাম বাদ দেয়া হবে। অনেক সময় দেখা যায় সন্তান কী করে তা অভিভাবক জানেই না। অনেকে অভিভাবকদের কথাও শুনতে চায় না। অনেকের অভিভাবকদের ডেকে এনে বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।