ঢাকা অফিস:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী আজ সোমবার। এবার এমন এক সময়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে যখন তার স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ। বড় ছেলে তারেক রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর পরিবার দেশের বাইরে অবস্থান করছে।
বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এবং উৎপাদনমুখী রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান পরিচিতি পেয়েছিলেন অতি অল্প সময়ে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাব পেয়েছিলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল। তার পরের বছর ১ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘কমল’। বাবা মনসুরুর রহমান ও মা জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে কমল ছোটবেলা থেকেই লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতার হেয়ার স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচি চলে যান তিনি। জিয়াউর রহমান ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং কমিশন পান ১৯৫৫ সালে। ১৯৬৬ সালে তিনি কাকুলে পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে পরিদর্শক হন এবং একই বছর শেষদিকে কোয়েটা স্টাফ কলেজে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন, যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভিত রচনা করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা প্রতিষ্ঠাসহ নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তাঁর আগ্রহ জাতিকে নতুন দিক-নির্দেশনা পদয়।