নাজমুল হক
৩৬ জুলাই স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস কেয়ারটেকার সরকারের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংগালী জাতি পাকিস্তান থেকে বিজয় অর্জন করেছিল। আওয়ামী লীগের ভূল রাজনীতির কারণে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার মহান নেতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দালাল চক্রের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, ভারত তোষণনীতির ফলে গণতন্ত্র হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরব স্বাক্ষী আয়নাঘর। ১,০০০ মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুর এবং রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে, ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছে এবং আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে অপরাধী হিসেবে নতুন প্রজন্মের কাছে মানবতা বিরোধী অপরাধ করে বিচারের মুখোমুখি। এমনই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনুস দেশ সংস্কারের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ড. ইউনুস এখন দ্বিতীয় স্বাধীন রাষ্টের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি নোবেল বিজয়ী, তার ব্রেন চাইল্ড থ্রি-জিরো বিশ্ববাসীর নিকট খুবই প্রশংসিত হয়েছে। তিনি থ্রি-জিরোর প্রবক্তা, বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতষ্ঠার জন্য দ্বিতীয় নোবেল পুরস্কার পাবেন সেটা আমরা প্রত্যাশা করতে পরি। তিনি জাতীর উদ্দেশ্যে অলিখিত এবং গুরুত্বপূর্ন ভাষন প্রদান করেছেন, যাহা একটি ঐতিহাসিক দলিল। মালেশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাতির মোহাম্মদ দ্বয়িত্ব গ্রহণ করার ২৫ বছরের মধ্যে মালেশিয়া আধুনিক বিশ্বের উপযোগী আধুনিক এবং দুনীতিমুক্ত সভ্য রাস্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ড. মোহাম্মদ ইউনুস কেয়ারটেকার সরকারের রাস্ট্র সংস্কারের জন্য ৪১ দফা গণমানুষের দাবী:
১) কেয়ারটেকার সরকারকে গতিশীল এবং বিপ্লব টিকিয়ে রাখার জন্য স্বৈরশাসকের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্পে নিয়োজিত সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা। আমলাদের মধ্যে যাদেরকে সুপারসীট করে প্রমোশন দিয়েছে তাদের চাকুরী বিধি মোতাবেক প্রমোশন বাতিল করা এবং যাহারা স্বৈরাচারের শাসনকালে প্রমোশন বঞ্চিত তাদের প্রমোশনসহ উঁচু পদে পদায়ন করা। ২) স্থানীয় সরকারের রুট লেভেলের কেন্দ্রবিন্দু ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন। বিগত ১৫ বছর এ সকল প্রতিষ্ঠান ছিলো লুটপাট এবং বিচারহিনতার কেন্দ্র। মানবাধিকার লংঘন, ভোটাধিকার হরণ, ভোটকেন্দ্র দখল, ত্রাণের মালামাল লুটপাট, হামলা মামলা, বিরোধীদল ধমনের আখড়া। দেশের সংস্কার এবং সুশাসন ও মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে পরাজিত স্বৈরশাসকের প্রতিনিধি স্থানীয় সরকারের সকলস্তরে বহাল রয়েছে বিধায় অবিলম্বে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন বিলুপ্ত করা এবং মেধাবী ছাত্রদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দান করা। ৩) মেধাবীদের ছাত্রদের ভবিষ্যত লিডার হিসেবে সুয়োগ দেওয়ার জ্ন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষভাবে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ৪) প্রতিটি ইউনিয়নে মেধাবীদের ছাত্রদের নিয়ে’’ইউনিয়ন আদালত’’ প্রতিষ্ঠা করা। মসজিদ স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসার কমিটিতে মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য ২ টি পদ রাখা এবং মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্টানে কমিটি নতুনভাবে গঠন করা।
৫) ২৬ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করে (ড.আসিফ নজরুল), তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করে উক্ত পদে মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ২৬ লক্ষ ছাত্রকে ৩০ দিনের ভিতরে নিয়োগ দেওয়া। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এবং কেন ভারতীয় নাগরিক চাকুরী করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করা এবং তদন্ত করে দেখা ওরা ’র’ এর বাংলাদেশী এজেন্ট কিনা। ৬) পরাজিত স্বৈরশাসকের নিয়োগপ্রাপ্ত সকল বিচারপতি, বিচারক, পিপি, এপিপি, অর্থাৎ সকল বিচারক এবং আইনজীবিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা। আইন ও বিচার বিভাগকে দ্বিতীয় সাধীনতার চেতনার আলোকে নিরপেক্ষ এবং মেধাবীদের নিয়ে ঢেলে সাজানো। আইন ও বিধি লংঘন করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনুসারীদের শান্তি প্রদানকারী বিচারকের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক বিচার করা। ৭) অবিলম্বে জাতীয় সম্পদ শুদ্ধাচার কমিশন গঠন করা: ১৯৯১ সাল খেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যাদের টেক্স ফাইলের ১০-বি ফরমে বাড়ী, গাড়ী, ফ্লাট, জমি, দোকান, সঞ্চয় বন্ড, রিসোট ইতাদি পওয়া যাবে না, উক্ত সম্পদ রাস্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে ক্রোক করা। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের মতো দুনীতি ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালানো। বিগত ১৫ বছরের দুনীতি দমন কমিশনের এবং আয়কর ভিাগের সদস্যদের সম্পদ তদন্ত করে বাজেয়াপ্ত করা।
৮) প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক, বিচারপতি শামসুদ্দীন মানিকসহ তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যে নির্বাচন কমিশনার ও আমলা ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ ভোটারবিহিন সংসদ নির্বাচন করেছে, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র হয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। ৯) প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দলবাজ পরাজিত স্বৈরশাসকের দোসর ভিসিদের অব্যাহতি দিয়ে যাদের ৪টি প্রথম শ্রেণী এবং পিএইচডি আছে এমন গবেষক, প্রফেশনার শিক্ষকদের ভিসি, প্রেভিসি, প্রক্টর, প্রভোষ্ট, হাউজ টিউটর এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দান করা। ১০) যে সকল অধ্যাপকের এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রী নেই তাদেরকে অধ্যাপক পদ বাতিল করে সহয়োগী অধ্যাপক পদে পদায়ন করা এবং প্রফেসর পদে যে সকল বেতন ভাতা গ্রহণ করেছে তাহা রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমার ব্যবস্থা করা। এসোসিয়েট প্রফেসর হতে হলে পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা। ১১) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তৈরী করা এবং গরীব শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। ১২) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশের ভিতরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তালিকা তৈরী করা এবং গরীব মুক্তিযোদ্ধাদের পুন:বাসনের ব্যবস্থা করা।
১৩) যাহারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সাটিফিকেট গ্রহণ করেছে এবং চাকুরী, প্রমোশন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণ করেছে তাদের বিরোদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এবং যে সকল বেতন ভাতা গ্রহণ করেছে তাহা রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমার ব্যবস্থা করা। ১৪) সরকারী বিভিন্ন পদে এবং বিসিএস পরীক্ষায় পিএসসি ড্রাইভার তালেব আলী থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে প্রশাসনের উচ্চ পদে নিয়োজিত আছে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা এবং যে সকল বেতন ভাতা গ্রহণ করেছে তাহা রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমার ব্যবস্থা করা। শুক্তবার এবং শনিবার বন্ধের দিন আমলাদের সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার বন্ধ চাই। ১৫) স্বৈরাচারের জননী শেখ হাসিনা ক্ষমতার দাফটে ড. ইউনুস কে পদ্মায় ফেলে দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসনার বিরোদ্ধে হত্যা মামলা দ্বায়ের করা, এবং ১,০০০ ছাত্র হত্যার জন্য শেখ হাসিনা, সাদ্দাম হোসেন ওবায়দুল কাদের এবং আসাদুজ্জামান কামালগংসহ স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর সহযোগীদের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করা।
১৬) যে সকল পুলিশ বাহিনী, সোয়াত বাহিনী, বিজেবি এবং র্যাব সদস্য বিরোধী দলের সদস্য এবং ছাত্রদের প্রকাশ্য দিবালোকে জংগী রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধী বলে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা এবং বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচারের ব্যবস্থা করা। পুলিশ বাহিনী, র্যাব বাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই, বিজিবি কে দেশপ্রেমিক বাহিনী হিসেবে পুনগঠন করা। নতুন প্রজন্ম থেকে ১০০,০০০ পুলিশ বাহিনীর সদস্য নিয়োগ দেওয়া। পুলিশের বিকল্প হিসেনে প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ আনসার বাহিনী তৈরি করা। ১৭) যে সকল সামরিক ও বেসামরিক আমলা দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে আয়নাঘরে গুম এবং হত্যা করেছে তাদেরকে খঁজে বের করে বিচারের ব্যবস্থা করা। সারাদেশে বিগত ১৫ বছরের গুম ও খুনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। ১৮) পুলিশ বাহিনী ১৫ বছর স্বৈরাচারের পেটোয়া বাহিনী ছিলো। প্রতিটি থানা হবে অপরাধীর কারাগার এবং রাস্ট্রের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেবাকেন্দ্র। পুলিশ ও বেসামরিক আমলার দুনীতি লুটপাট এর সম্পদ খুঁজে বের করে বাজেয়াপ্ত করা। ১৯) রাস্ট্রয়ভাবে ৫ আগষ্ট কে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস পালন করা এবং সংবিধানের অংশ করে নেওয়া। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস চালু করা। সংবিধানে বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আল্লাহর উপর পুন আস্তা ও বিশ্বাস সংযোজন করা।
২০) স্বৈরশাসকের আয়নার ঘর এবং ডিবি অফিসের রাস্ট্রীয় নিযাতন বন্ধ করা। আয়নার ঘরের মাস্টার মাইন্ড সামরিক বেসামরিক এবং রাজনৈতিক দলের লিডারদের খুঁজে বের করা এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসা। ২১) স্বৈরশাসকের গুমের শিকার সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াছ আলীসহ সারাদেশে গুম ও নিহতদের তালিকা তৈরী করা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। ২২) সারাদেশে ৪৫০,০০০ মসজিদের ইমামকে বেতনভুক্ত করা এবং প্রতিটি মসজিদে এবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু করা। মসজিদকে সমাজসেবা এবং মহল্লার সলিশী আদালত হিসেবে ঘোষনা করা। ২৩) হেলমেট বাহিনী, দাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী লুটপাটকারী, দখলদার অগ্নিসংযোগকারীর তালিকা তৈরী করে বিচারের ব্যবস্থা করা। মেট্রোরেল পদ্মা সেতু উড়ালপথ রেলপথসহ বড় বড় প্রকল্পে দুনীতি লুটপাট তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। ২৪) বীর শহীদ ১,০০০ ছাত্রদের স্মৃতি রক্ষার জন্য তাদের নামে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তা, ব্রিজ, চত্ত্বর এর নাম দেওয়া। তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিটি পরিবার থেকে যোগ্যতা অনুসারে চাকুরীর ব্যবস্থা করা।২৫) স্বাধীন বাংলাদেশের উপযোগী দেশপ্রেমিক আমলা এবং সরকারী চাকুরীজীবিদেন নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, ব্যাংক, বীমা, রেগুলেটরী অথরিটি, অধিদপ্তর, পিএসসি, বিজিবি পুলিশ এবং আনসার বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। ২৬) হাটবাজার, বাস ট্রাক টামিনাল, স্থলবন্দর, নৌবন্দর, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চাঁদাবাজি ও হামলা লুটপাট বন্ধ করা। ২৭) বাসের সবনিম্ন ভাড়া ৫/-টাকা করা এবং শুক্র এবং শনিবারও ছাত্রদের জন্য ২৪ ঘন্টা লোকাল বাসে হাফভাড়া চালু করা। ২৮) দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিশিন গঠন করা। উৎপাদন অথবা আমদানীর স্থান থেকে ১০০ কি:মি পরপর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে দিয়ে খাদ্যদ্রব্যের বাজার জনগনের জন্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা।
২৯) আলীয়া মাদ্রাসা এবং কওমী মাদ্রাসার জন্য একটি আধুনিক এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক একমুখী এবং মিশরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইসলামী শিক্ষা চালূ করা। ৩০) শিক্ষাংগন থেকে ছাত্র রাজনীতি ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা। মেধার ভিত্তিতে হলে সিট বন্টন করা। আধুনিক বিশ্বের উপযোগী বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা নীতি চালু করা। রাষ্ট্রীয় অর্থে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের নামে মনগড়া গল্পের বইগুলো বাজেয়াপ্ত করে , দ্বিতীয় বিপ্লবের ইতিহাসভিত্তিক বই লিখা। ৩১) ধনী ও গরীবের ব্যবধান কমিয়ে আনা। সহজ শর্তে উদ্যোক্তা ভিত্তিক ব্যাংক লোন চালু করা। সকল ভাতা বাতিল করে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করা। ৩২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেশ ও বিদেশের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করার জন্য কারিকুলাম এবং সিলেবাস প্রণয়ন করা। বাংলা, আরবী, ইংরেজী ভাষা শিখা বাধ্যতামূলক করা। ৩৩) ভারত থেকে স্থল বন্দর, সমুদ্র বন্দর, সড়ক পথ, রেলপথ আকাশ পথ ব্যবহারের সকল বকেয়া টেক্স আদায় করা। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা। সীমান্তে অতীতে বাংলাদেশীদের হত্যার ক্ষতিপূরণ আদায় করা। ৩৪) ভারত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি ধ্বংস করা, মংগা সৃষ্টি করা, অসময়ে পানি ছেড়ে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি, কোটি কোটি মানুষের জীবিকার কি কি ক্ষতি করেছে তা তদন্ত করে ক্ষতিপুরণ আদায় করা এবং জাতীসংঘে অভিযোগ করা। ৩৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে ৩০০ মার্কের ঐঁসধহরঃধৎরধহ জবংঢ়ড়হংব ধহফ ঝধভবঃু গধহধমবসবহঃ পড়ানো উচিত।
৩৬) ফারাক্কা বাঁধ, টিপাইমুখী বাঁধ, তিস্তা বাঁধের বিকল্প স্বাধীনতা বাঁধ নির্মাণ করে ভারতের বন্যা থেকে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিকে রক্ষা করা। ৩৭) ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে হলে ২৫ লক্ষ ছাত্রকে আধা সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ দিন। ভারতীয় ষড়যন্ত্র পুলিশ ধর্মঘট, আনসার বাহিনীর অবরোধ, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, ভারতের সৃষ্ট বন্যা, বাজার নিয়ন্ত্রণ ছাত্ররাই করবে। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করা। ৩৮) দাবী দাওয়ার নামে পুলিশ বাহিনীর অঘোষিত ধর্মঘট, আনসার বাহিনীর অবরোধ। সরকারী বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরের দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার অফিসের সামনে আবস্থান ধর্মঘট ও মিছিল ইত্যাদি স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার অনুমোদন ছাড়া মিছিল অবরোধ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা যাবে না। ৩৯) বিগত ১৫ বছরের নিয়োগ রিভিউ করা। সুপারসিট সরকারী কর্মকর্তাদের প্রমোশন রিভিউ করা এবং ২৫ বছর চাকুরী যারা করেছে তাদেরকে বিধি মোতাবেক অবসর নেওয়া। ৪০) সেনাবাহিনীকে সংবিধান মোতাবেক দেশের মালিককে নিরাপত্তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দ্বায়িত্ব দিন। ৪১) দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য গণভবনকে যাদুঘরে রুপান্তর করা এবং সংসদ ভবনের উত্তর পাশে চন্দ্রিমা বা জিয়া উদ্যানে একটি নান্দনিক জাতীয় মসজিদ তৈরী করা।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাতির মোহাম্মদ দায়িত্ব গ্রহণ করার ২৫ বছরের মধ্যে মালেশিয়া আধুনিক বিশ্বের উপযোগী আধুনিক এবং দুনীতিমুক্ত সভ্য রাস্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ড. ইউনুস এখন দ্বিতীয় স্বাধীন রাষ্টের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি নোবেল বিজয়ী, তার ব্রেন চাইল্ড থ্রি-জিরো বিশ্ববাসীর নিকট খুবই প্রশংসিত হয়েছে। তিনি থ্রি-জিরোর প্রবক্তা, বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতষ্ঠার লিডার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় নোবেল পুরস্কার পাবেন এবং জনগণের চাহিদা মোতাবেক ভারতের প্রভাবমুক্ত রাস্ট্রগঠন করবেন, এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। তিনি জাতীর উদ্দেশ্যে অলিখিত এবং গুরুত্বপূর্ন ভাষন প্রদান করেছেন, যাহা একটি ঐতিহাসিক দলিল, এভাবে একটি আধুনিক বিশ্বের উপযোগী জাতি গড়ে উঠুক এ প্রত্যাশা রইল।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।