নিজস্ব প্রতিনিধি :
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন নিরাপত্তা কাউন্সিলের ৫টি রাষ্ট্রই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। এর আগে র্যাবের উপর স্যাংশন দিয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রচুর দৌড়ঝাঁপ করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পূর্ব মূল্যায়ন টিম আজ বাংলাদেশে এসেছেন। ১৬ তারিখ আমার সঙ্গে বৈঠক হবে। মার্কিন প্রতিনিধি দল সতর্ক বার্তা দিচ্ছে। ডোনাল্ড লু সচেষ্ট রয়েছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৩৩ জন মেম্বার আমাদের দেশে মানবাধিকার ও নির্বাচনের বিষয়ে সংসদে বিল আনার প্রস্তাবে স্বাক্ষর দিয়েছেন।আরও ৮/৯জন সদস্য স্বাক্ষর করার প্রক্রিয়ায় আছেন। অষ্ট্রেলিয়ার সিনেটে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় সবাই উদ্বিঘœ। তারা কেউই ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো নির্বাচন যাতে না হয় সেদিকে তীক্ষ্ন নজর রাখছে।”
গতকাল শনিবার দুপুরে দৈনিক ফেনীর সময় কার্যালয় পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেনীর তিনটি সংসদীয় এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এ উপাচার্য।
একপ্রশ্নের জবাবে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, “রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগে রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে।”
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্য দেশের চাপ প্রয়োগ কতটা ঠিক বলে মনে করেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “চাপ প্রয়োগ মনে করা ঠিক নয়। আমরা কিন্তু একদল শাসিত সরকার নই। বহুবচনিক সমাজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গড়ে তুলেছিলেন। উন্নত বিশ্বের নেতা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ বিশেষ করে ব্রিটেন এর কাছ থেকে আমরা গনতান্ত্রিক রীতিনীতি শিখেছি।”
ড. কলিমউল্লাহ আরো বলেন, “নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের নজর আরো তীক্ষ থাকবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন পূর্ব পর্যবেক্ষনের অংশ হিসেবে ভোলার লালমোহন, তজমুদ্দিন, বোরহানুদ্দিন, চট্টগ্রাম, সন্দিপ, চাঁদপুরের মতলব ঘুরে দেখেছি। মাঠপর্যায়ে একধরনের টানটান উত্তেজনা, উৎসাহ রয়েছে। সাজসাজ রবও আছে।”
ড. কলিমউল্লাহ দৈনিক ফেনীর সময় এর সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি পত্রিকাটির প্রতিদিনকার প্রকাশনা দেখে ভ‚য়শী প্রশংসা করেন এবং উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। ড.কলিমউল্লাহ কার্যালয়ে আসলে পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সহ ফেনীর সময় পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।