নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা তাবলীগ জামায়াতের আমির সুফি আবদুল গনি হাজারো ভক্ত ও মুসল্লীদের ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে জেলা তাবলীগ জামায়াতের আমির হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। বুধবার বিকালে শহরের সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন ফেনী জেলা তাবলীগ জামায়াত মারকাজ মাদানীনগর মাদরাসার পাশে দাফন করা হয়। ভারতের দিল্লি নিজাম উদ্দীন মারকাজের আলেমেদ্বীন মাওলানা ইউসুফ (র:) তাকে এ দায়িত্ব পালন করার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল (১০৭) বছর। তিনি ৪ ছেলে, ৬ মেয়ে ও আত্মীয়স্বজন সহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
একইদিন বাদ আছর ফেনী শহরের ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে মাওলানা ওমর ফারুকের পরিচালনায় মরহুমের জানাযাপূর্ব বক্তব্য রাখেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাছান, জামেয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবুল কাশেম, জামেয়া মাদানিয়া মাদরাসার মুহতামিম সাইফ উদ্দিন কাসেমী, জামেয়া রশিদিয়া মাদরাসার মোহতামিম মুফতি শহীদ উল্যাহ, দাগনভূঞা আশরাফুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম ইউসুফ কাসেমী, ঘাটগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাশেম, ছাগলনাইয়া আজিজিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রুহুল আমিন, শর্শদী দারুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস রফিকুল হক, দেবীপুর সোলতানিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাহেদুল ইসলাম, জামেয়া মাদানিয়ার নায়েবে মুহতামিম মুফতি আহমদ উল্যাহ, তাবলীগের সাথী প্রফেসর আলাউদ্দীন ও হাজী বেলাল উদ্দীন, কাকরাইলের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল বার ও মরহুমের ছেলে আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ। জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে আবদুল হাফিজ। জানাযায় সর্বস্তরের হাজারো মুসল্লী অংশ নেন।