ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার সংলগ্ন সেই খামার বাড়িতে এখন অপরাধীদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাদের হুমকির মুখে খামার মালিক আবদুল মতিন চৌধুরী ও তার সন্তানরা খামারে যেতে পারছেন না। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মতিন চৌধুরী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বাজার সংলগ্ন খামার বাড়িটি আবদুল মতিন চৌধুরী পৈত্রিক সূত্রে মালিক। ওই খামারে বিশালাকৃতির তিনটি মাছের ঘের সহ ৫টি পুকুর রয়েছে। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ফল-ফলাদীর বাগান। পাঁচগাছিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের তত্ত¡াবধানে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক ফল বাগান প্রদর্শনী প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ, এমরান হোসেন, উত্তর নেয়াজপুর গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে মেহেদী, উত্তর খুশীপুর গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে আকাশ, উত্তর গজারিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ছুট্টু, আইয়ুব আলী, আলী হোসেন, আনোয়ার হোসেন সহ একদল যুবক খামার থেকে মাছ লুট করে নেয়। ওইদিন থেকে তারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দল বেঁধে আড্ডা জমায়। তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে এখানে এনে মারধর করে।
খামার কর্মচারী হেলাল মিয়া জানান, ঘটনার দিন তিনি নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। সেদিনের পর আবদুল মতিন চৌধুরী ও তার ছেলেরা খামারে আসেন না। এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে আবদুল মতিন চৌধুরীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারকে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক থেকে ৭৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামারে মাছ চাষ ও ফলের গাছ লাগানো হয়। উল্লেখিতরা ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা আতংকে রয়েছেন। জীবনের নিরাপত্তা ও খামার রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আবদুল মতিন চৌধুরী।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমামকে দায়িত্ব দেন বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে।