দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
দাগনভুঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের হাটপুকুরিয় থেকে সেনবাগ সংযোগ সড়কের বেহাল দশায় সৃষ্টি হওয়া দূর্ভোগ দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছরেও কাটেনি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ সববয়সী পথচারীরা কষ্ট করে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় সূত্র ও একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাটপুকুরিয়া থেকে সেনবাগ সংযোগ সড়কটি গত ১৩ বছর আগে প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হাই মিলনের প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আধাকিলোমিটার পাকাকরণ করা হয়। বাকী আধা কিলোমিটার সড়ক কাঁচা রয়েছে। দীর্ঘদিনেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দকে ভরে গেছে। একটু বৃষ্টি হলে সড়কে কাঁদাপানি একাকার হয়ে যায়। সেনবাগের কালিকাপুর, শ্যামেরগাঁও, বটতলা, বীজবাগ, নবীপুর ও দাগনভূঞার পশ্চিম চন্ডিপুর, কামুভুঞার পোল এবং নলদীয়া এলাকার লোকজন যাতায়াত করে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামীয়া আরাবিয়া মাদরাসা, ইসলামী ফাউন্ডেশনের নুরানী মাদ্রাসা, দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয়, নবীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়ক।
স্থানীয় যুবক মজিবুল হায়দার কিরন ফেনীর সময় কে জানান, হাটপুকুরিয়া থেকে সেনবাগ সংযোগ সড়কটি সংস্কার জরুরী। মেরামত না হওয়ায় দুই উপজেলার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ নানা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারে এগিয়ে আসবে এমনটাই আশা করি।
স্থানীয় ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল ফোরকান বুলবুল ফেনীর সময় কে জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ হাটপুকুরিয়া থেকে সেনবাগ সংযোগ সড়কটি সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: মাছুম বিল্লাহ ফেনীর সময় কে জানান, দীর্ঘদিনেও সড়কের সংস্কার হয়নি। এ কারণে সড়কটি ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লিখিত পাওয়া গেছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে পরবর্তীতে মেরামত করা হবে।