নিজস্ব প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের বহুতল ভবন ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া গৃহকর্তা আবদুল গফুর ভূঞা হত্যা মামলায় ১৩ দিনেও আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এনিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দিনদুপুরে ভবন দখল করতে ভয়াবহ তান্ডবের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুনরায় হামলার আশংকায় দিনাতিপাত করছেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে থানা সূত্র জানায়, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। গফুর ভূঞার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল বুধবার ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হবে। ইতিমধ্যে লাশ উত্তোলনের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আদেশের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্তকারী সূত্র জানায়, গত ২৯ মে বুধবার হাসপাতাল রোডের ৫ তলা ভবন দখল করতে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞা হামলার শিকার হন। এরপর থেকে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ১ জুন শনিবার ভোরে ঢাকায় নেয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গফুর ভূঞার ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে আমান উল্যাহপুর এলাকার নির্মল সাহার ছেলে দহন সাহা, রুহিনী সাহার ছেলে নির্মল সাহা ও চয়ন সাহা, জগতপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে আইয়ুব আলী, কালা মিয়ার ছেলে ছেরাজুল হক প্রকাশ হক সাব ও রাজাপুর ইউনিয়নের আবদুল নবী গ্রামের খায়েজুল হকের ছেলে ইকবাল হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়।