দৈনিক ফেনীর সময়

দো’আর গুরুত্ব ও নিয়মাবলী

দো’আর গুরুত্ব ও নিয়মাবলী

দো’আ আরবি শব্দ। অর্থ : ডাকা, আহ্বান করা, প্রার্থনা করা, নিয়ন্ত্রণ করা। আল্লাহ তা’য়ালা মানুষকে তাঁর নিকট দো’আ ও কাকুতি মিনতি করার আদেশ দিয়েছেন এবং দো’আ কবুল করার ও যা চাওয়া হয়, তা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। দো’আর গুরুত্ব ঃ দো’আর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পবিত্র কোরআন ও হাদীসে স্ববিস্তারে তার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন। তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। গর্ব অহংকার বশত: যে আমার ইবাদতে পাশ কাটিয়ে যায়, অতিসত্ত¦র তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত অবস্থায় দোযখে প্রবেশ করবে। (সূরা আল মুমিন- ৬০)।

আরো ইরশাদ করেন – তোমরা তোমাদের বরকে ডাকো জড়সড় হয়ে এবং চুপে চুপে। তিনি সীমানা লংঘনকারীদের পছন্দ করেন না (সূরা আল আ’রাফ- ৫৫)। আরো ইরশাদ করেন- আমার বান্দারা আমার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলে দিল, আমি অবশ্যই তাদের অতি নিকটে আছি। যখনই কেউ আমার কাছে দো’আ করে আমি সাথে সাথে তাতে সাড়া দিয়ে থাকি। অতএব, তারা হেদায়াতের মনজিলে মকসুদে পৌঁছতে সক্ষম হয় (সুরা আল বাকারা- ১৮৬)।

অন্যত্র ইরশাদ করেন – আর যারা খারাপ কাজ করে অথবা নিজের আত্মার উপর জুলুম করে অত:পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তারা আল্লাহকে ক্ষমাশীল পাবে (সূরা আল-নিসা-১১০)। আল্লাহ তা’য়ালা আরো ইরশাদ করেন – তোমাদের রব নির্দেশ দেন আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সারা দেব (সুরা গাফের -৬০)।

আরো ইরশাদ করেন – বলুন, হে আমার বান্দাহগণ! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (সূরা যুমায়- ৫৩)। হযরত নূ’মান ইবন বশীর (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- দো’আ হচ্ছে ইবাদত (আবু দাউদ, তিরমিযী)।

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, আল্লাহর কাছে দো’আর চেয়ে সম্মান জনক কিছুই নেই (তিরমিযী)। রাসূলুল্লাহ (স) আরো ইরশাদ করেন – যে ব্যক্তি কামনা করে যে, আল্লাহ তার কঠিন বিপদ মুসিবতে তার দোয়া কবুল করবেন, তার কর্তব্য সুখের দিনেও অধিক পরিমানে দো’আ করা (তিরমিযী)।
আরো বলেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দো’আ করে না, তার ওপর আল্লাহ রাগাম্বিত হন। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, কোনো সতর্কতা অদৃষ্ট থেকে রক্ষা করে না। পক্ষান্তরে, দো’আ আগত ও অনাগত উভয় রকমের বিপদ মুসিবতে সাহায্য করে। কখনো কখনো বিপদ মুসিবত নেমে আসার পর তার সাথে দোআর সাক্ষাত হয়। তারপর দো’আ ও বিপদ পরস্পরে লড়াই চালিয়ে যায় কিয়ামত পর্যন্ত (বাযায, তাবারানি)। হযরত সালামান ফারসী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (স) বলেছেন- দো’আ ছাড়া অন্য কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না, আর পরোপকার ছাড়া অন্য কিছুই আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে না (তিরমিযী)। হযরত আবু উয়ানা ও ইবন হিব্বান থেকে বর্ণিত, মহানবী (স) বলেছেন- তোমরা আল্লাহর কাছে যখন দোয়া করবে, তখন বড় জিনিস চাইবে, কারণ আল্লাহর সামনে কোন কিছুই বড় নয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, বান্দায় দো’আ সর্বদাই কবুল হয, অবশ্যই যদি সে দো’আ গুনাহ করা ও সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না হয় এবং তাড়াহুড়া না করা হয়। একজন প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! তাড়াহুড়া করার অর্থ কি? তিনি বলেন, দো’আকারী এ রকম মনে করতে থাকে যে, সে অনেক দো’আ করেছে কিন্তু মঞ্জুর হয়নি। তাই সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং দো’আ করা ছেড়ে দেয় (মুসলিম)। হযরত সালমান ফারসী (রা) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স) বলেছেন, আল্লাহ তা’য়ালা লজ্জাশীল ও দানশীল। যখন কোন বান্দাহ তাঁর সামনে দু’হাত পাতে তখন তাকে ব্যর্থ করে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জা অনুভব করেন। (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স) বলেছেন, যখন কোন মুসলমান দো’আ করে এবং তাতে পাপের প্রার্থনা থাকে না এবং আত্মীয় স্বজনের অধিকার হরণের কোন কথা থাকে না, আল্লাহ তা’য়ালা এ রকম দো’আ অবশ্যই কবুল করেন। হয়তো এ দুনিয়াতে তার দোঁআ কবুল করেন এবং তার উদ্দেশ্য পূরণ করেন অন্যথা পরকালে তার জন্যে জমা করে রাখেন অযথা তার উপর আসন্ন কোন বিপদকে ঐ দো’আর বদৌলতে সরিয়ে দেন। সাহবায়ে কেরাম আরজ করেন, তা’হলে তো আমরা অনেক বেশী দো’আ করব। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন – আল্লাহ ও অনেক বেশী দাতা (তারগীব, মুসনাদ আহম্মদ)। তিনি আরো বলেছেন- উত্তম দো’আ হলো ইস্তেগফার (সহীহ বুখারী)।

দো’আর নিয়মাবলী : দো’আর কতিপয় আদব ও নিয়মাবলী রয়েছে। দো’আর জন্যে এ সব আদব ও নিয়মাবলী পালন করা অপরিহার্য।

১. হালাল রিযিক ভক্ষণ : দো’আ কুবল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো হালাল জীবিকা ভক্ষণ করো দো’আ করা। হযরত সাদ ইবন আবি ওয়াক্বাস আরজ করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, যেন আমাকে এমন ব্যক্তিতে পরিণত করেন যার দোয়া কবুল হওয়া নিশ্চিত হবে। মহানবী (স) বলেন – হে সাদ! তুমি হালাল খাদ্য ভক্ষণ করা নিশ্চিত করো, তবে তোমার দো’আ কবুল হওয়া নিশ্চিত হবে।

সেই আল্লাহর শপথ, যার হাতে আমি মুহাম্মদ (স) এর জীবন, যে ব্যক্তি এক গ্রাম হারাম খাদ্য পেটে প্রবেশ করাবে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার কিছুই কবুল হবে না। আর সুদ ও ঘুষ থেকে যার দেহে গোশ্ধসঢ়;ত তৈরী হবে, তার জন্য দোযখই সর্বাধিক উপযোগী। আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- হে মু’মিনগণ! তোমাদেরকে আমি যে জীবিকা দিয়েছি, তার মধ্য থেকে হালাল জীবিকা আহার করো (সূরা আল বারাকা-১৭২)।

২. কিবলামূখী হওয়া : দো’আর আদব হলো কিবলামূখী হয়ে দো’আ করা। মহানবী (স) ইসতিস্কার নামাযের জন্য বের হয়ে কিবলামূখী হয়ে দো’আ করেছিলেন এবং বৃষ্টি প্রার্থনা করেছিলেন। ৩. উপযুক্ত সময়ে দো’আ করা : দো’আ কবুল হওয়ার উপযোক্ত সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে দো’আ করা। যেমন- আরাফার দিন, রমযান মাসে, জুমার দিনের শেষাংশে, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে, সাহরির সময়, বৃষ্টির সময়, আযান ও ইকামতের মধ্যবতী সময়, মাকামে ইবরাহীমে, তাওয়াফের সময়, রিয়াযুল জান্নাতে, কদরের রাত্রে, ফরয নামাযের পর, যুদ্ধের ময়দানে, সিজদার সময়, হাজরে আসওয়াদ ও কাঁবা ঘরের দরজায়, মাশয়ারুল হারামে ইত্যাদি পবিত্র স্থান ও সময়ে দো’আ কবুল হয়। ৪. হস্তদয় কাঁধ বরাবর উত্তোলন করা : হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহ তা’য়ালায় কাছে কোন কিছু চাওয়ার নিয়ম হলো- তোমার কাঁধ বরাবর অথবা তার কাছাকাছি হস্তদ্বয় উত্তোলন করবে (আবু দাউদ)। হযরত মালেক ইবন উয়াসার থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, তোমরা যখন আল্লাহ কাছে কোন কিছু চাইবে। তখন তোমাদের হাতের তালু মেলে দাও, হাত উবুড় করে রেখো না।

৫. আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করা ও দরূদ পড়া ঃ দো’আর আদব হলো, দো’আ করার শুরুতে আল্লাহ তা’য়ালা প্রশংসা করা ও দরূদ শরীফ পড়া এবং শেষে আমীন বলা। হযরত ফযা ইবন উবাইদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) শুনতে পেলেন এক ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর প্রতি দরূদ না পড়েই দোঁআ করছে। তিনি বললেন, এ ব্যক্তি দো’আ করতে তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তারপর তাকে ডেকে বলেন, তোমাদের কেউ যখন নামায পড়ে, তখন প্রথমে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষনা করে, তারপর রাসূল (স) এর প্রতি দরূদ শরীফ পড়ে, তারপর নিজের মনোবাঞ্জা পূরণের জন্য দো’আ করে (আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী)। ৬. বিনয় ও কাকুতি মিনতি সহকারে কলবকে স্থীর রেখে দো’আ করাঃ আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে কাকুতি মিনতি সহকারে ও গোপনে ডাকো। আল্লাহ সীমালংঘনকারীকে পছন্দ করেন না (সূরা- আল আ’রাফ – ৫৫)। অন্যত্র বলেছেন – তোমরা তাঁর কাছে দো’আ কর- কাকুতি মিনতি সহকারে ও গোপনে (সূরা আল আনয়াম- ৬৩)। ৭. চুপে চুপে দো’আ করা : উত্তম দো’আ হলো পোপনে ও চুপে চুপে করা।

মহানবী (স) একদল লোককে উচ্চস্বরে দোয়া করতে দেখে বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের প্রতি সদয় হও। তোমরা এমন স্রষ্টাকে ডাকছো যিনি বধির নন এবং অনুপস্থিতও নন। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (বুখারী, মুসলিম)। ৮. পাপাচার ও সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না করা : দো’আ কবুল হওয়ার শর্ত হলো পাপাচার ও সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দো’আ না করা। মহানবী (স) বলেছেন – কোন মুসলমান যখন আল্লাহর কাছে এমন দো’আ করে, যাতে কোন পাপ নেই এবং রক্ত সম্পকীয় আত্মীয়তা ছিন্ন করার ইচ্ছা নেই তখন আল্লাহ তার দো’আর উত্তরে তিনটি জিনিসের যে কোন একটি তাকে দান করেন, হয়তো সে যা চেয়েছে তা ত্বরিত দিয়ে দেন, অথবা তা তার আখেরাতের জন্য সঞ্চিত করে রাখেন কিংবা তার উপর থেকে অনুরূপ কোন খারাপ পরিণতি হটিয়ে দেন (মুসনাদ আহমদ)।

৯. তাড়াহুড়া না করা : দোঁ’আ কবুল হওয়ার জন্য তাড়াহুড়া না করা দো’আর একটি বিশেষ আদব। হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন কোন ব্যক্তি যতক্ষণ তাড়াহুড়া না করে এবং এরূপ না বলে যে, এতো দো’আ করলাম কবুল হলো না, ততক্ষণ তার দো’আ কবুল হয়। ১০. কবুল হওয়ার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে দো’আ করব : দো’আ নিশ্চিত কবুল হবে এমন প্রবল বাসনা নিয়ে দো’আ করতে হবে। হযরত আবু হুরায়রা (র) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন – তোমরা এভাবে দোঁ’আ করো না যে, হে আল্লাহ! যদি আপনার ইচ্ছা হয় তবে আমাকে ক্ষমা করুন, যদি আপনার মনে চায়, তবে আমার প্রতি দয়া করুন। বরং যা চাইবে, তা দৃঢ়ভাবে চাইবে। কেননা, আল্লাহকে কেউ বাধ্য করতে পারে না (আবু দাউদ)।

১১. তিনবার দো’আ করা : প্রার্থনার বিষয়টি তিন করে বলা দো’আর অন্যতম আদব। হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা:) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স) তিনবার দো’আ করা ও তিনবার গুণাহ মাফ চাওয়া পছন্দ করতেন (আবু দাউদ)। ১২. আল্লাহর গুণবাচক নাম ও নেক আমলের ওসিলা করে দোয়া করা : আল্লাহ ইরশাদ করেন – আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাকে ডাক।

১৩. বেশী বেশী জান্নাত প্রত্যাশা করা। যাদের দো’আ কবুল হয় : ১. পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জন্য. ২. মুসাফিরের দো’আ, ৩. মযলুমের দো’আ, যদিও কাফির হয়। ৪. ন্যায় বিচারক শাসকের দো’আ, ৫. নেক সন্তানের দো’আ, ৬. অনুপস্থিত মুসলমান ভাইয়ের জন্য অপর মুসলমান ভাইয়ের দো’আ, ৭. রোযাদারের দোয়া, ৮. নিরুপায় ব্যক্তির প্রমূখের দোয়া।

মহানবী (স) আরো বলেছেন, তিনটি দো’আ সন্দেহাতীত ভাবে কবুল হয়; পিতার দো’আ, মুসাফিরের দো’আ ও মযলুমের দো’আ (মুসনাদ আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী)।

রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন- তিন ব্যক্তির দো’আ ফেরত দেয়া হয় না – রোযাদারের দো’আ যখন ইফতারের সময় দো’আ করে, ন্যায় বিচারক শাসকের দো’আ এবং মযলুমের দো’আ। মযলুমের দোয়া আল্লাহ তায়ালা মেঘের উপর তুলে নেন, তার জন্য আকাশের সকল দরজা খুলে দেন এবং আল্লাহ বলেন, আমার সম্মান ও প্রতাপের কসম তোমাকে আমি সাহায্য করবোই, যদি ও তা বিলম্ব হয (তিরমিযী)। মহানবী (স) আরো বলেছেন- একজন অনুপস্থিত ব্যক্তি আরেক জন অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য যে দোয়া করে, সেই দো’আ সবচেয়ে দ্রুত কবুল হয় (আবু দাউদ)।

হযরত ইবরাহীম বিন আদম (র) কে দো’আ কবুল না হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন – দশটি কারণে তোমাদের দো’আ কবুল হয় না। ১. আল্লাহর পরিচয় পাওয়ার পর তার হক আদায় না করা, ২. রাসূল ((স) এর ভাল বাসার দাবী করার পর তাঁর সুন্নত বর্জন করা, ৩. কুরআন মজীদ পাঠ করার পর তা অনুযায়ী আমল ননা করা, ৪. আল্লাহর নেয়ামত ভক্ষণ করার পর তার শুকরিয়া আদায় করা, ৫. শয়তানকে শত্রু বলে জানার পরও তাকে সমর্থন করা ৬. জান্নাত সত্য বলে স্বীকৃতি দানের পর তার জন্য আমল না করা, ৭. জাহান্নাম সত্য বলে জানার পর তার থেকে পলায়নের চেষ্টা না করা, ৮. মৃত্যু অবধারিত বলে জানার জন্য তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ না করা, ৯. নিজের দোষ না দেখে অন্যের দোষ-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা, ১০. স্বহস্তে মৃতদেরকে দাফন করার পরও এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করা। উপরিউক্ত দশটি কারণে কলব মরে যায়, ফলে দো’আ কবুল হয় না।

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!