নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের নাজির রোডে মঙ্গলবার সেপটিক ট্যাংকে ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসী। কেন এ বিষ্ফোরণ এনিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে ফায়ার সার্ভিসের ফেনীস্থ উপ-পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি জানিয়েছেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে গ্যাস বের হতে না পারায় এমন বিষ্ফোরণ হয়েছে।
তার মতে, সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস বের হতে পাইপ ব্যবহার করা হয়। কোন পাইপ না দেওয়ায় গ্যাস বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। একইসঙ্গে পৌরসভার ড্রেনের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংকের সংযোগও ছিল। গতকাল ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় কারণে গ্যাস নির্গত হওয়ার জন্য যখন প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়। তখন বের হওয়ার জায়গা না থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণটি এতো ব্যাপক ছিল ১২-১০ ফুট পরিমাণের একটি অংশ বিস্ফোরিত হয়ে উপরের ছাদের সাথে গিয়ে আঘাত পায়।
পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি আরো বলেন, সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে প্রত্যেকদিন যে ময়লাগুলো সৃষ্টি হয় এগুলোর জন্য গ্যাস নির্গত হতে ৫-৭ ইঞ্চি সাইজের পাইপ ছাদ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। যাতে করে গ্যাসগুলো বাতাসের সাথে মিশে যায়। এ ভবনে অপরিকল্পিতভাবে গ্যাস নির্গমন হওয়ার জন্য কোন পাইপ না রেখে উল্টো পৌরসভার ড্রেনের সাথে সংযোগ করে দিয়ে তারা নির্বুদ্ধিতার কাজ করেছে।
তিনি জানান, ৯ ফুট গভীর ও ২৪-১০ ফুট সেপটিক ট্যাংকের তিনটি পার্ট এর মধ্যে পানিগুলো নির্গত হওয়ার কথা। যেখানে দূর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে শুধু পানি থাকার কথা। এখানে যদি বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হওয়ার জন্য পাইপ লাইন দেয়া হতো তাহলে এ ঘটনা ঘটত না। ফেনী পৌরসভার সাব-লাইনের সাথে সংযোগ দেয়ার কারনে পৌরসভার ড্রেন থেকে বিষাক্ত গ্যাসগুলো সেপটিক ট্যাংকে এসে জমাট বাঁধে। এ বিল্ডিংয়ের জন্য এতবড় সেপটিক ট্যাংকের প্রয়োজন হয় না। সেপটিক ট্যাংক ভরাট হওয়ার জন্য ড্রেনের বিষাক্ত গ্যাসগুলো প্রবেশ করে জমাট হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভবন নির্মাণে আরো সতর্ক হওয়ার জন্য আহবান জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।