নিজস্ব প্রতিনিধি :
নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের দুর্নীতির অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিজ এলাকা পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা এলাকার মঈন আহমেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নাসিম চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্য, দলীয় পদ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ইশারায় চলতো বৃহত্তর নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের প্রশাসন।
মঈন আহমেদের দাবী, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় আলাউদ্দিন নাসিম ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু বর্তমানে ১০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৫৭ হাজার ২৯৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫০ টাকা। এমপি ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশ-বিদেশে নামে-বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ। এছাড়া কানাডায় রয়েছে বাড়ি-গাড়ি। মেয়ে রাকা চৌধুরী এখনও কানাডায় অবস্থান করছেন। এমপি হওয়ার আগেও তিনি পরিবার নিয়ে প্রায়ই কানাডায় থাকতেন। তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে তার ঘনিষ্টজনদের বরাতে তিনি উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনীর সময় কে বলেন, তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকুরীজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগপর্যন্ত দল বা সরকারের কোন পদপদবীতে ছিলাম না। এসময়ে পুরোদমে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বৈধভাবে উপার্জন করেছি। আমার অর্জিত টাকার যথাযথ আয়কর প্রদান করেছি। টেক্স ফাইলের বাইরে আমার কোন সম্পদ নেই।
তিনি আরো বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে কখনো আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠেনি। এমপি হয়ে জনগনের কল্যাণে কাজ করতে এসে কিছু ব্যক্তি আক্রোশবশত এসব বদনাম রটাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা মঈন আহমেদ নামে উত্তর গুথুমা এলাকায় কোন ব্যক্তি নেই। ভূয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত করছে বলে তিনি মনে করেন।