নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ৮২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক অসংখ্য লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, নিজাম উদ্দিন হাজারীর আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় তিনি ২০১০-১১ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়, বেতন ভাতাদি, সম্মানী ভাতা, গৃহ সম্পত্তির আয়, কৃষি আয়, মৎস্য আয়, ব্যাংক সুদ, শেয়ারের লভ্যাংশসহ মোট ৭২ কোটি ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৯ টাকা আয় করেন এবং একই সময়ে ১১ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার ৫৬১ টাকা পারিবারিক ব্যয় করেন। অতএব ব্যয় বাদে তার বৈধ গ্রহণযোগ্য আয় ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৭ হাজার ৯১৮ টাকা। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার স্ত্রী নূরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বিগত ৩ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঢাকা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় নামে-বেনামে জমি, বাণিজ্যিক ভবন কেনা, বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।