মো: মহি উদ্দিন :
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতী। আবারও প্রমাণ করে দিলেন পরশুরামে মেধাবী ছাত্রী ফাদিলা মাহজাবিন নিগার। অদম্য ইচ্ছা শক্তি সবাইকে পূর্ণতা এনে দেয়। ২০২৩ সালে পাবলিক কয়েকটি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক কুঁড়াচ্ছে ফাদিলা। উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামের মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা ও পূর্ব সাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম মজুমদারের মেয়ে।
স্বজনরা জানান, ছোট বেলা থেকে মেধাবী ফাদিলা মাহজাবিন নিগার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহ জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। অনেক প্রতিযোগিতায় জিতে পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৪ সালে পরশুরাম অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরিক্ষায় জিপিএ ৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভের পর তার সাফল্যের সূচনা। ধারাবাহিক সফলতার অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে পরশুরাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০২০ সালে পরশুরাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পায় ফাদিলা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকা ১০৪১তম, ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকা ১৯৫৯তম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (এ ইউনিট) মেধা তালিকা ২০৮১তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (এ ইউনিট) মেধা তালিকায় ৪২০৩তম স্থান অর্জন করেছে।
ফাদিলা মাহজাবিন নিগার জানান, তার স্বপ্ন ছিল একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজের জীবন গঠন করবে। স্বপ্ন পূরনের সারথি হিসেবে পাশে পেয়েছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার বাবা। শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং দোয়া নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বেশিরভাগ দিনই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬/১৭ ঘন্টা পড়তে হয়েছে।
চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় বোন ইসমত সাঈদা বাংলাদেশ কৃষি প্রশিক্ষণ থেকে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। ছোট ভাই আবরার হাসনাত পরশুরাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
ফাদিলা মাহজাবিন নিগার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া আমার জীবনে স্বপ্ন ছিল। স্বপ্নপূরণের জন্য সবসময় চেষ্টা করেছি। সফলতা অর্জনের জন্য পরিশ্রম ও মনোযোগ সহকারে পড়ার বিকল্প কিছু নেই। ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন সালের প্রশ্ন ব্যাংক, গ্রামার, সাধারণ জ্ঞান সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক বইয়ের উপর গুরুত্ব দিলে সফলতা অর্জন সম্ভব। ভবিষ্যতের সফলতা কামনায় সবার দোয়া চেয়েছেন তিনি।