পরশুরাম প্রতিনিধি :
পরশুরাম পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মিসফাকুস সামাদ রনিকে (৩০) এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর এলাকায় হাসপাতাল মোড়ে এঘটনা ঘটেছে। উপজেলা ও জেলা বিএনপি এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদেরকে দায়ী করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত ১০-১২ জন তরুন লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে পরশুরাম হাসপাতাল রোডে রনি ট্ইালস নামে একটি দোকানে ঢুকে পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মিসফাকুস সামাদ রনির ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা রনিকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে তারা দোকানে গ্লাস, টাইলসসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে রনিকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল খায়ের লিটন অভিযোগ করেন, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মিসফাকুস সামাদ রনির উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা জড়িত। তারা তার উপর হামলা চালিয়ে আহত ও তার দোকান ভাংচুর করেছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল হালিম জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা যুবদলের নেতা রনিকে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে আহত ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। তিনি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি করেন।
অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, গত বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরে বিএনপি ও যুবদলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা রনির উপর হামলা চালিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো: সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি লোকমুখে হামলার ঘটনা শুনেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।