শহর প্রতিনিধি :
ফেনীর অনন্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট সমাজ হিতৈষী মরহুম মাহবুব-উল-হক পেয়ারা (পেয়ারা দাদা)-এর ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০০ সালের এদিনে ইন্তেকাল করেন ফেনীর প্রথিতযশা এ সাংবাদিক। এ উপলক্ষ্যে বাদ যোহর গ্র্যান্ড হক টাওয়ার মসজিদ ও বাদ মাগরিব গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের ১০ তলায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
জীবদ্দশায় তিনি ফেনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ফেনী প্রেস ক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির ফেনী জেলা শাখার সভাপতি, দি পাকিস্তান অবজারভারের ফেনী প্রতিনিধি, দৈনিক ইত্তেফাকের ফেনী সংবাদদাতা, (১৯৭২-২০০০), ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক (১৯৫৭-১৯৯২), রোটারী ক্লাব অব ফেনীর চার্টার্ড সভাপতি সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পিতৃভূমি ফরহাদনগর ইউনিয়নে কে এম হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন মাহবুব-উল হক।
তাঁর হাতে গড়া সংগঠন গুলোর মধ্যে ফেনী টাউন ক্লাব, এভারগ্রীন ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, প্লেয়ার্স ইউনিয়ন, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, ব্রাদার্স ক্লাব, মৌসুমী কচি কাচাঁর মেলা অগ্রগণ্য। এচাড়া ফেনী কলেজ, ফেনী আলিয়া মাদ্রাসা, ফেনী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, বি এ ভি এস, ফেনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট, বাস মালিক সমিতি সহ অসংখ্য সামাজিক, শিক্ষা, ক্রীড়া ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে সম্পৃক্ত ছিলেন।
সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তিনি ১৯৯০ সালে “বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্বর্ণপদক” পুরষ্কারে ভূষিত হন। সমাজ সেবায় অসাধারন অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি ১৯৭৮ সালে জাতীয় পুরষ্কার “স্বনির্ভর বাংলাদেশ” প্রাপ্ত হন। ১৯৮০ সনে তুরষ্কে অনুষ্ঠিত ইসলামিক গেইমসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এসোসিয়েট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিবার সুযোগ পান। ১৯৮০ সালে ইসলামিক গেমস্ ে২৭৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলের এসোসিয়েট ম্যানেজার হিসেবে তুরস্ক সফর করেছেন। বহুমুখী প্রতিভাবান এ ব্যক্তিত্ব ফেনী শহরে পেয়ারা দাদা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর পিতা বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য এডভোকেট খাঁন সাহেব বজলুল হক চৌধুরীও অত্র অঞ্চলের খ্যাতিমান সমাজ সেবক ছিলেন।
ছোট ছেলে ইমন উল হক পরিবারের পক্ষ থেকে বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আত্মীয়-স্বজন, শুভানুধ্যায়ী সহ সবার দোয়া চেয়েছেন।