নাজমুল হক :
ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতের আশ্রয়ে আছে। ভারতীয় ’র’ এর প্রেসকিপসন মোতাবেক বিএনপির সিনিয়র নেতারা সংবিধানের দোয়াই দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের পুনবাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৈসম্যবিরোধী ছাত্রজনতা এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বুঝতে হবে কেন বিএনপি মহাসচিব সংবিধানের দোয়াই দিয়ে প্রেসিডেন্টকে অপসারণে বাধা দিচ্ছে। যারা রাজনৈতিক দলের লিডার হিসেবে এবং রাষ্ট্রের উঁচু পদে থেেেকআমলা ও উপদেষ্ঠা প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে সংবিধানের দোয়াই দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ওদের ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারনে ১৯৮প্রেসিডেন্টের অপসারণ বিএনপি কোন পথে হাঁটছে
নাজমুল হক
ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতের আশ্রয়ে আছে। ভারতীয় ’র’ এর প্রেসকিপসন মোতাবেক বিএনপির সিনিয়র নেতারা সংবিধানের দোয়াই দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের পুনবাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৈসম্যবিরোধী ছাত্রজনতা এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বুঝতে হবে কেন বিএনপি মহাসচিব সংবিধানের দোয়াই দিয়ে প্রেসিডেন্টকে অপসারণে বাধা দিচ্ছে। যারা রাজনৈতিক দলের লিডার হিসেবে এবং রাষ্ট্রের উঁচু পদে থেেেকআমলা ও উপদেষ্ঠা প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে সংবিধানের দোয়াই দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ওদের ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারনে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছে এবং ২০০৭ সালে জেনারেল মঈন ১/১১ ঘটিয়েছে। ওরা অন্তরালে ফ্যাসিবাদের দোসর, দেশ জাতি গণতন্ত্র এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের শত্রু। ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। দেশপ্রেমিক ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল জুলাই বিপ্লব। বিপ্লব টিকিয়ে রাখতে হলে চুপ্পুকে বিদায় দিতে হবে। ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লবের পরে ১৯৭২ সালের সংবিধান ছাড়াও দেশ চলছে। ১) ভোট চোর প্রধানমন্ত্রী নেই ২) ফ্যাসিবাদের দোসর বিরোধী দলের লিডার নেই ৩) ফ্যাসিবাদের স্পীকার নেই ৪) বিশাল মন্ত্রী পরিষদ ৫০জননেই ৫) ভোট চোর ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নেই ৬) ভোট চোর ৩৩৫ জন মেয়র নেই ৭) ভোট চোর ৪৯৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান নেই ৮) ভোট চোর ৬০ জন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নেই ৯) ভোট চোর ৪৫৭১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৪১,১৩৯ জন মেম্বার নেই ১০) উপজেলা পরিষদ, সিটি কপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ নেই ১১) দালাল মিডিয়া সিন্ডিকেট নেই ১৩) পুলিশ সিন্ডিকেট নেই ১৪) ব্যাংক লুটেরা এস আলম নেই ১৫) দরবেশ বাবা নেই ১৬) প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগে দালাল নেই ১৭) ড. মোহাম্মদ ইউনুসের শপথ অনুষ্ঠানে জয়বাংলা বলার মতো কেউই নেই ১৮) একটি পরিবারের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন বন্দনা নেই ১৯) ভারতের দাললগোষ্টির দালালী নেই ২০) মুজিববাদের দোসর নেই ২১) হেলমেট বাহিনী নেই ২২) ওবায়দুল কাদেরের কাব্যিক বাণী নেই ২৩) কোথাও ফ্যাসিবাদের দোসর ভোট চোর নেই ২৪) রাষ্ট্রের মদদে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক লুটেরাগোষ্ঠী নেই ২৫) ১৪২৩ জন মেধাবী ছাত্র হত্যাকারীরা নেই। সংবিধান মোতাবেক এতো কিছুইতো নেই, তারপরও দেশটা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনুসের লিডারশিপে খুবই ভালোভাবে চলছে। ভোট চোরদের চুপ্পু চলে গেলেও দেশটা আরও সুন্দর চলবে।
ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতি প্রেসিডেন্টের বিদায় দেখতে চায়। ৩৬ জুলাই বিপ্লব বলতে ২০২৪ সনে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানকে বোঝানো হয়। ‘জুলাই-আগস্টে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভাবনীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিদায় নিয়েছে এবং জাতি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। জুলাই বিপ্লবকারীদের জন্য সংবিধান মানা বাধ্যতামূলক নহে। ১৯৭২ সালের সংবিধান বাংলাধেশের জাতীয় চেতনা এবং মূল্যবোধের পরিপন্থী। জুলাই বিপ্লবকারীরা একটি নতুন সংবিধান রচনা করবে। ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রেসিডেন্টকে অপসারন করবে জুলাই বিপ্লবের চেতনার মাধ্যমে। এখানে সংবিধানের দোয়াই দেওয়ার কোন সযোগ নেই। জুলাই বিল্পবীরা দেয়াল লিখনির মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতার চেতনা তুলে ধরেছে। ১৮ কোটি মানুষ সরাদেশে দেয়ালিকা দেখেছে। কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস রাস্তায় হেঁটে হেঁটে সবকিছু ভিজিট করেছেন। অতিসম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। ৫ আগষ্ট হতে আগুন সন্ত্রাস নেই, হেলমেট বাহিনী নেই, এস.বি মনিরের জংগী অভিযান নেই, হাউন আংকেলের ভাতঘর নেই, চেতনার বাহাদুরি নেই, ভারতের দালালী নেই, ওসিদের খবরদারীও নেই।
প্রেসিডেন্ট শাহাবউদ্দিন সাহেব মানবজমিন সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান সাহেবকে বলেছেন, পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র পান নাই বলে দেশবাসীর কাছে হাসির খোরাক হয়েছেন। অথচ তিনি ৫ জুলাই জাতির দেওয়া রেডিও এবং টিভির মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন। টিভি, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া তার জলন্ত স্বাক্ষী। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এ বক্তব্য প্রেসিডেন্ট তিনবাহিনী প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে টিভিতে বলেছেন। বিপ্লবীদের ভয়ে ফ্যাসিবাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বিধায় পদত্যাগ করার কোন প্রয়োজন নেই।
ইরানের রেজা শাহ পাহলভী, শ্রীলংকার রাজা পাকশে, ইথিওপিয়ার ইদি আমিন, আফগানিস্থানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং বাংলাদেশের শেখ হাসিনা জনতার বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারে ১ জন সত্যবাদী মানুষ থাকলেও ১,৪২৩ জন মেধাবী ছাত্র খুন হতো না।
খুনীদের প্রথম বিচার হলো সারাদেশে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা। বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্রহত্যা , নির্যাতন, হেলমেট বাহিনী, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নসহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ সম্পর্কে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে বিধায় সরকার ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। ‘১৫ আগস্ট কেন ছুটি থাকবে? প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বন্দরনায়েক এবং প্রেমাধাসা, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় খুন করেছে। তাদের জন্য জাতীয় ছুটি আছে কি? ৩৬ জুলাই বিপ্লবে মুজিববাদ বিতাড়িত! বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের শোষণমুক্ত হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসরগোষ্ঠী ১,৪২৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে গণহত্যা করেছে। গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা বিচারের মুখোমুখি। বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবসে কেন জাতীয় ছুটি থাকবে?বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রেখে হালুয়া রুটি খেয়েছে। অবিলম্বে জাপা নিষিদ্ধ করা হোক এবং জাপাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
দেশব্যাপী ছাত্রজনতার বিপ্লবকে শেষ করে দেওয়ার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাধিকেরা বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন, প্রয়োজনে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত (দৈনিক প্রথম আলো ২৪ জুলাই ২০২৪)। এই সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদের দোসর , ওরা ছাত্রহত্যাকারীদের সহযোগী। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে জামায়াত-বিএনপি কর্তৃক সংঘটিত ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবকে ব্যর্থ করতে গোয়েন্দা প্রতিবেদন বাস্তবায়নে কোনো ব্যর্থতা ছিল কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা ছাত্রলীগে আরও মেধাবী শিক্ষার্থীদের যোগদানে আকৃষ্ট করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালীকরণ এবং জনপ্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকেরা বলেন, তাঁরা শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন এবং তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। মহাখালীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার কথা তুলে ধরে ডিবিসি সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, বেলা তিনটার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘কেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য সেখানে ছিলেন না এবং কেন একজন কর্মকর্তা তাঁর বাহিনী নিয়ে জায়গা ছেড়ে চলে গেলেন?’ তিনি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল এবং সে কারণেই পুলিশ রাজধানীর আশপাশে চেকপোস্ট বসায়। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, রাজধানীতে কোনো পিঁপড়া প্রবেশ করতে পারবে না, অথচ হাতি প্রবেশ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য আত্মসমালোচনা করার পরামর্শ দিয়ে পিন্টু বলেন, গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের অফিস রক্ষায় কেন সেনাবাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজন পড়ল। ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই বিপর্যয় ও নৃশংসতায় দলের দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। দলে রদবদলের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও তদারকির পরামর্শ দেন এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার ওপর জোর দেন। আবেদ খান বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস থাকায় তাঁর জন্য যা প্রয়োজন তা করতে পারেন।
বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট ১,৪২৩জন মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করে ভারতে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এবং গতকাল গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে দিল্লীতে আশ্রয়ে ছিলো। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফেরত আসেন এবং ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছেন। জেনারেল এরশাদ এবং শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয় নাই। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে এবং বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। বাংলাদেশের তিন দিক শত্রুবেষ্টিত ভারত। ভারত নিজেদের স্বার্থে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশকে করদরাজ্যে রুপান্তরের জন্য ভারত বড়ভাইসুলভ আচরণ করেই যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের সাথে ভারতের ’র’ জড়িত ছিলো। ’র’ এর দ্বিতীয় পরিকল্পনা মোতাবেক ৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, এরশাদের রাজনৈতিক অভিলাষ প্রকাশ হয়ে পড়ে। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পরে শেখ হাসিনা ভারতে ’র’ এর আশ্রয়ে ছিলেন এবং জেনারেল এরশাদ ছিলেন ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক এটাসি। উভয়ের পরিকল্পনায় এবং ’র’ এর তত্তাবধানে এরশাদ ক্ষমতা দখল করে, শেখ হাসিনা রাজনীতির বি-টিম হিসেবে জেনারেল এরশাদকে ৯ বছর ক্ষমতায় থাকতে সহযোগিতা করে এবং ১৯৮৬ সালে বিএনপিকে বাদ দিয়ে বিরোধী দলের আসন দখল করে । তেমনি শেখ হাসিনাকে ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে ক্ষমতায় থাকতে জেনারেল এরশাদ এবং জাতীয় পাটি রাজনীতির বি-টিম হিসেবে সহযোগিতা করে এবং জেনারেল এরশাদ বিরোধী দলের আসন দখল করে । ভারত কখনো বাংলাদেশের বন্ধু ছিলো না, ভারত বন্ধু ছিলো শেখ হাসিনা এবং জেনারেল এরশাদের। বিগত ৫ আগষ্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে ভারত অখুশী হয়ে যায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে লোকসভার অধিবেশন ডাকে, সীমান্তে হত্যাকান্ড বৃদ্ধি করে, ফারাক্কা, তিস্তা, ত্রিপুরার বাঁধ খুলে দিয়ে কৃত্রিম বন্যায় ১০টি জেলার ২ কোটি মানষের ব্যাপক ক্ষতি করেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাত সিং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি প্রদান করে।
ভারতে ’র’ এর আশ্রয়ে আছেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। ’র’ এর সাথে যোগাযোগ আছে এমন অফিসারগণ ভারতে বাংলাদেশ দুতাবাসে চাকুরীরত আছেন, তাদেরকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় জেনারেল এরশাদের মতো কোন জেনারেল ক্ষমতা দখলের পায়তারা করতে পারে। ভারতের আত্বস্বীকৃত দালাল জি এম কাদের ২০২৩ সালের ২৩ আগষ্ট ভারত সফর করে এসে সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিল, ভারতের অনুমতি ছাড়া মোদির সাথে গোপন চুক্তির কিছুই বলবে না। জি. এম কাদের, রওশন এরশাদ , মশিউর রহমান রাঙ্গা. মজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ পতিত স্বৈরশাসকের সহযোগী। এস আলম, সালমান এফ রহমান, নতুন টাকা ছাপিয়ে লুটপাট, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, শেখ হাসিনার আয়না ঘরের নিরব স্বাক্ষী ইনু মেনন দ্বিলীপ বড়ুয়া এবং ১৪ দল একইসুত্রে গাতা। এরা দেশ ও জাতির দুশমন এবং র এর এজেন্ট । জাতীয় পাটি ’র’ এর পরিকল্লনা মোতাবেক বি-টিম হিসেবে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রেখেছিল। জাতীয় পাটির সকল নেতাদের গ্রেফতার করতে হবে। কাদের সিদ্দিকী ’র’ এর এজেন্ট। ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর উচিত ভারতের এদেশিয় এজেন্ট এবং ’র’ এর এজেন্টদের তালিকা তৈরী করে ফলোয়াপ করা।
আওয়ামী লীগকে বিচারের সম্মুখীন না করে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন পর্যন্ত মাফ না চায়, যতদিন পর্যন্ত তাদের অপকর্মের জন্য বিচারের সম্মুখীন না হয়, ততদিন তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না।’ছাত্র-আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে এই সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণসহ ৫ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এতে সারজিস আলম বলেন ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
আ.লীগকে নির্বাচনে বাধা ও নিষিদ্ধের পক্ষে নন মির্জা ফখরুল (৩রা অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক যুগান্তর) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান ভারত। এ অভ্যুত্থানে দেড় হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে।তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া বা ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, কারণ উভয় কর্মকাণ্ডই গণতান্ত্রিক চর্চাকে দুর্বল করবে। ফখরুল বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র চাই তাহলে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হবে কেন? আওয়ামী লীগের মতো পুরনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া উচিত।’ রাষ্ট্রপতি অপসারণে হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের (২৭ অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক প্রথম আলো) রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অন্তর্র্বতী সরকারকে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে যদি সংহত করতে হয়, তাহলে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।’
ভারতীয় ’র’ এর পেসকিপসন মোতাবেক বিএনপির সিনিয়র নেতারা সংবিধানের দোয়াই দিয়ে দানবদের পুনবাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৈসম্যবিরোধী ছাত্রজনতা এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বুঝতে হবে কেন বিএনপি মহাসচিব সংবিধানের দোয়াই দিয়ে প্রেসিডেন্টের অপসারণে বাধা দিচ্ছে। রাষ্ট্রের উঁচু পদে থেকে প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে সংবিধানের দোয়াই দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ওদের ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারনে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছে এবং ২০০৭ সালে জেনারেল মঈন ১/১১ ঘটিয়েছে। ওরা অন্তরালে ফ্যাসিবাদের দো‘সর, দেশ জাতি গণতন্ত্র এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের শত্রু। ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। দেশপ্রেমিক ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল জুলাই বিপ্লব। বিপ্লব টিকিয়ে রাখতে হলে প্রেসিডেন্টকে বিদায় দিতে হবে।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছে এবং ২০০৭ সালে জেনারেল মঈন ১/১১ ঘটিয়েছে। ওরা অন্তরালে ফ্যাসিবাদের দোসর, দেশ জাতি গণতন্ত্র এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের শত্রু। ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। দেশপ্রেমিক ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল জুলাই বিপ্লব। বিপ্লব টিকিয়ে রাখতে হলে চুপ্পুকে বিদায় দিতে হবে। ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লবের পরে ১৯৭২ সালের সংবিধান ছাড়াও দেশ চলছে। ১) ভোট চোর প্রধানমন্ত্রী নেই ২) ফ্যাসিবাদের দোসর বিরোধী দলের লিডার নেই ৩) ফ্যাসিবাদের স্পীকার নেই ৪) বিশাল মন্ত্রী পরিষদ ৫০জননেই ৫) ভোট চোর ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নেই ৬) ভোট চোর ৩৩৫ জন মেয়র নেই ৭) ভোট চোর ৪৯৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান নেই ৮) ভোট চোর ৬০ জন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নেই ৯) ভোট চোর ৪৫৭১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৪১,১৩৯ জন মেম্বার নেই ১০) উপজেলা পরিষদ, সিটি কপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ নেই ১১) দালাল মিডিয়া সিন্ডিকেট নেই ১৩) পুলিশ সিন্ডিকেট নেই ১৪) ব্যাংক লুটেরা এস আলম নেই ১৫) দরবেশ বাবা নেই ১৬) প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগে দালাল নেই ১৭) ড. মোহাম্মদ ইউনুসের শপথ অনুষ্ঠানে জয়বাংলা বলার মতো কেউই নেই ১৮) একটি পরিবারের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন বন্দনা নেই ১৯) ভারতের দাললগোষ্টির দালালী নেই ২০) মুজিববাদের দোসর নেই ২১) হেলমেট বাহিনী নেই ২২) ওবায়দুল কাদেরের কাব্যিক বাণী নেই ২৩) কোথাও ফ্যাসিবাদের দোসর ভোট চোর নেই ২৪) রাষ্ট্রের মদদে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক লুটেরাগোষ্ঠী নেই ২৫) ১৪২৩ জন মেধাবী ছাত্র হত্যাকারীরা নেই। সংবিধান মোতাবেক এতো কিছুইতো নেই, তারপরও দেশটা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনুসের লিডারশিপে খুবই ভালোভাবে চলছে। ভোট চোরদের চুপ্পু চলে গেলেও দেশটা আরও সুন্দর চলবে।
ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতি প্রেসিডেন্টের বিদায় দেখতে চায়। ৩৬ জুলাই বিপ্লব বলতে ২০২৪ সনে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানকে বোঝানো হয়। ‘জুলাই-আগস্টে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভাবনীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিদায় নিয়েছে এবং জাতি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। জুলাই বিপ্লবকারীদের জন্য সংবিধান মানা বাধ্যতামূলক নহে। ১৯৭২ সালের সংবিধান বাংলাধেশের জাতীয় চেতনা এবং মূল্যবোধের পরিপন্থী। জুলাই বিপ্লবকারীরা একটি নতুন সংবিধান রচনা করবে। ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রেসিডেন্টকে অপসারন করবে জুলাই বিপ্লবের চেতনার মাধ্যমে। এখানে সংবিধানের দোয়াই দেওয়ার কোন সযোগ নেই। জুলাই বিল্পবীরা দেয়াল লিখনির মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতার চেতনা তুলে ধরেছে। ১৮ কোটি মানুষ সরাদেশে দেয়ালিকা দেখেছে। কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস রাস্তায় হেঁটে হেঁটে সবকিছু ভিজিট করেছেন। অতিসম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। ৫ আগষ্ট হতে আগুন সন্ত্রাস নেই, হেলমেট বাহিনী নেই, এস.বি মনিরের জংগী অভিযান নেই, হাউন আংকেলের ভাতঘর নেই, চেতনার বাহাদুরি নেই, ভারতের দালালী নেই, ওসিদের খবরদারীও নেই।
প্রেসিডেন্ট শাহাবউদ্দিন সাহেব মানবজমিন সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান সাহেবকে বলেছেন, পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র পান নাই বলে দেশবাসীর কাছে হাসির খোরাক হয়েছেন। অথচ তিনি ৫ জুলাই জাতির দেওয়া রেডিও এবং টিভির মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন। টিভি, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া তার জলন্ত স্বাক্ষী। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এ বক্তব্য প্রেসিডেন্ট তিনবাহিনী প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে টিভিতে বলেছেন। বিপ্লবীদের ভয়ে ফ্যাসিবাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বিধায় পদত্যাগ করার কোন প্রয়োজন নেই।
ইরানের রেজা শাহ পাহলভী, শ্রীলংকার রাজা পাকশে, ইথিওপিয়ার ইদি আমিন, আফগানিস্থানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং বাংলাদেশের শেখ হাসিনা জনতার বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারে ১ জন সত্যবাদী মানুষ থাকলেও ১,৪২৩ জন মেধাবী ছাত্র খুন হতো না।
খুনীদের প্রথম বিচার হলো সারাদেশে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা। বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্রহত্যা , নির্যাতন, হেলমেট বাহিনী, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নসহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ সম্পর্কে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে বিধায় সরকার ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। ‘১৫ আগস্ট কেন ছুটি থাকবে? প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বন্দরনায়েক এবং প্রেমাধাসা, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় খুন করেছে। তাদের জন্য জাতীয় ছুটি আছে কি? ৩৬ জুলাই বিপ্লবে মুজিববাদ বিতাড়িত! বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের শোষণমুক্ত হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসরগোষ্ঠী ১,৪২৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে গণহত্যা করেছে। গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা বিচারের মুখোমুখি। বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবসে কেন জাতীয় ছুটি থাকবে?বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রেখে হালুয়া রুটি খেয়েছে। অবিলম্বে জাপা নিষিদ্ধ করা হোক এবং জাপাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
দেশব্যাপী ছাত্রজনতার বিপ্লবকে শেষ করে দেওয়ার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাধিকেরা বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন, প্রয়োজনে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত (দৈনিক প্রথম আলো ২৪ জুলাই ২০২৪)। এই সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদের দোসর , ওরা ছাত্রহত্যাকারীদের সহযোগী। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে জামায়াত-বিএনপি কর্তৃক সংঘটিত ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবকে ব্যর্থ করতে গোয়েন্দা প্রতিবেদন বাস্তবায়নে কোনো ব্যর্থতা ছিল কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা ছাত্রলীগে আরও মেধাবী শিক্ষার্থীদের যোগদানে আকৃষ্ট করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালীকরণ এবং জনপ্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকেরা বলেন, তাঁরা শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন এবং তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। মহাখালীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার কথা তুলে ধরে ডিবিসি সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, বেলা তিনটার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘কেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য সেখানে ছিলেন না এবং কেন একজন কর্মকর্তা তাঁর বাহিনী নিয়ে জায়গা ছেড়ে চলে গেলেন?’ তিনি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল এবং সে কারণেই পুলিশ রাজধানীর আশপাশে চেকপোস্ট বসায়। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, রাজধানীতে কোনো পিঁপড়া প্রবেশ করতে পারবে না, অথচ হাতি প্রবেশ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য আত্মসমালোচনা করার পরামর্শ দিয়ে পিন্টু বলেন, গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের অফিস রক্ষায় কেন সেনাবাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজন পড়ল। ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই বিপর্যয় ও নৃশংসতায় দলের দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। দলে রদবদলের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও তদারকির পরামর্শ দেন এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার ওপর জোর দেন। আবেদ খান বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস থাকায় তাঁর জন্য যা প্রয়োজন তা করতে পারেন।
বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট ১,৪২৩জন মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করে ভারতে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এবং গতকাল গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে দিল্লীতে আশ্রয়ে ছিলো। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফেরত আসেন এবং ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছেন। জেনারেল এরশাদ এবং শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয় নাই। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে এবং বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। বাংলাদেশের তিন দিক শত্রুবেষ্টিত ভারত। ভারত নিজেদের স্বার্থে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশকে করদরাজ্যে রুপান্তরের জন্য ভারত বড়ভাইসুলভ আচরণ করেই যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের সাথে ভারতের ’র’ জড়িত ছিলো। ’র’ এর দ্বিতীয় পরিকল্পনা মোতাবেক ৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, এরশাদের রাজনৈতিক অভিলাষ প্রকাশ হয়ে পড়ে। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পরে শেখ হাসিনা ভারতে ’র’ এর আশ্রয়ে ছিলেন এবং জেনারেল এরশাদ ছিলেন ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক এটাসি। উভয়ের পরিকল্পনায় এবং ’র’ এর তত্তাবধানে এরশাদ ক্ষমতা দখল করে, শেখ হাসিনা রাজনীতির বি-টিম হিসেবে জেনারেল এরশাদকে ৯ বছর ক্ষমতায় থাকতে সহযোগিতা করে এবং ১৯৮৬ সালে বিএনপিকে বাদ দিয়ে বিরোধী দলের আসন দখল করে । তেমনি শেখ হাসিনাকে ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে ক্ষমতায় থাকতে জেনারেল এরশাদ এবং জাতীয় পাটি রাজনীতির বি-টিম হিসেবে সহযোগিতা করে এবং জেনারেল এরশাদ বিরোধী দলের আসন দখল করে । ভারত কখনো বাংলাদেশের বন্ধু ছিলো না, ভারত বন্ধু ছিলো শেখ হাসিনা এবং জেনারেল এরশাদের। বিগত ৫ আগষ্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে ভারত অখুশী হয়ে যায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে লোকসভার অধিবেশন ডাকে, সীমান্তে হত্যাকান্ড বৃদ্ধি করে, ফারাক্কা, তিস্তা, ত্রিপুরার বাঁধ খুলে দিয়ে কৃত্রিম বন্যায় ১০টি জেলার ২ কোটি মানষের ব্যাপক ক্ষতি করেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাত সিং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি প্রদান করে।
ভারতে ’র’ এর আশ্রয়ে আছেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। ’র’ এর সাথে যোগাযোগ আছে এমন অফিসারগণ ভারতে বাংলাদেশ দুতাবাসে চাকুরীরত আছেন, তাদেরকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় জেনারেল এরশাদের মতো কোন জেনারেল ক্ষমতা দখলের পায়তারা করতে পারে। ভারতের আত্বস্বীকৃত দালাল জি এম কাদের ২০২৩ সালের ২৩ আগষ্ট ভারত সফর করে এসে সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিল, ভারতের অনুমতি ছাড়া মোদির সাথে গোপন চুক্তির কিছুই বলবে না। জি. এম কাদের, রওশন এরশাদ , মশিউর রহমান রাঙ্গা. মজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ পতিত স্বৈরশাসকের সহযোগী। এস আলম, সালমান এফ রহমান, নতুন টাকা ছাপিয়ে লুটপাট, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, শেখ হাসিনার আয়না ঘরের নিরব স্বাক্ষী ইনু মেনন দ্বিলীপ বড়ুয়া এবং ১৪ দল একইসুত্রে গাতা। এরা দেশ ও জাতির দুশমন এবং র এর এজেন্ট । জাতীয় পাটি ’র’ এর পরিকল্লনা মোতাবেক বি-টিম হিসেবে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রেখেছিল। জাতীয় পাটির সকল নেতাদের গ্রেফতার করতে হবে। কাদের সিদ্দিকী ’র’ এর এজেন্ট। ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর উচিত ভারতের এদেশিয় এজেন্ট এবং ’র’ এর এজেন্টদের তালিকা তৈরী করে ফলোয়াপ করা।
আওয়ামী লীগকে বিচারের সম্মুখীন না করে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন পর্যন্ত মাফ না চায়, যতদিন পর্যন্ত তাদের অপকর্মের জন্য বিচারের সম্মুখীন না হয়, ততদিন তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না।’ছাত্র-আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে এই সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণসহ ৫ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এতে সারজিস আলম বলেন ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
আ.লীগকে নির্বাচনে বাধা ও নিষিদ্ধের পক্ষে নন মির্জা ফখরুল (৩রা অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক যুগান্তর) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান ভারত। এ অভ্যুত্থানে দেড় হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে।তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া বা ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, কারণ উভয় কর্মকাণ্ডই গণতান্ত্রিক চর্চাকে দুর্বল করবে। ফখরুল বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র চাই তাহলে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হবে কেন? আওয়ামী লীগের মতো পুরনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া উচিত।’ রাষ্ট্রপতি অপসারণে হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের (২৭ অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক প্রথম আলো) রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অন্তর্র্বতী সরকারকে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে যদি সংহত করতে হয়, তাহলে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।’
ভারতীয় ’র’ এর পেসকিপসন মোতাবেক বিএনপির সিনিয়র নেতারা সংবিধানের দোয়াই দিয়ে দানবদের পুনবাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৈসম্যবিরোধী ছাত্রজনতা এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বুঝতে হবে কেন বিএনপি মহাসচিব সংবিধানের দোয়াই দিয়ে প্রেসিডেন্টের অপসারণে বাধা দিচ্ছে। রাষ্ট্রের উঁচু পদে থেকে প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে সংবিধানের দোয়াই দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ওদের ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারনে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছে এবং ২০০৭ সালে জেনারেল মঈন ১/১১ ঘটিয়েছে। ওরা অন্তরালে ফ্যাসিবাদের দো‘সর, দেশ জাতি গণতন্ত্র এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের শত্রু। ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। দেশপ্রেমিক ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল জুলাই বিপ্লব। বিপ্লব টিকিয়ে রাখতে হলে প্রেসিডেন্টকে বিদায় দিতে হবে।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।