সাইদ হোসেন সাহেদ :
তীব্র তাপদাহে ফুলগাজীতে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। এতে করে একদিকে যেমন ডায়রিয়া ও চর্ম রোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অন্যদিকে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী সহ স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন হট-বাজারের একাধিক শিল্প মিটার মালিকরা জানিয়েছেন, গড়ে দিনে আমরা তিন ঘন্টা বিদ্যুত পাই না। একেকটা ওয়েল্ডিং কারখানায় ৫-১০ জন কর্মচারী কাজ করে। বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ দারুনভাবে ব্যাহত হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা এভাবে চলতে থাকলে ওয়োল্ডিং-ওয়ার্কশপ ব্যবসার সাথে জড়িত তারা পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। লোডশেডিং এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী।
নতুন মুন্সীর হাট বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, গত ২৪ ঘন্টায প্রায় ১৬ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। দোকানে চা, আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংকস বিক্রি করি। বিদ্যুতের এমন অবস্থা আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।
ফুলগাজী বাজারের মহিলা কলেজ রোডের কম্পিউটার ও ফটোকপি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের এ অবস্থায় সারাদিন বসে থাকতে হয় কাজ না করে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা গুটিয়ে বাড়ি চলে যাওয়া ছাড়া আর কাজ নাই।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ইকবাল মাহাদি জানান, বর্তমানে ফুলগাজীতে বিদ্যুতের চাহিদা ১১.২ মেগাওয়াট। কখনো ৩ কিংবা ৬ মেগাওয়াট পাওয়া যায়। এভাবে শিডিউল করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা হচ্ছে।