নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে সৃষ্ট বন্যার পানি কমার সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। গত দুদিনে মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৮ স্থানে ভেঙ্গেছে। এদিকে সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় দুই উপজেলার অন্তত ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি। বসতবাড়ি থেকে পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট।
বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করা নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা, সবজি ও পুকুরের মাছ। পানিতে আমনের বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ১৬ হেক্টর। সবজিখেত নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ৭ হেক্টর। মৎস্য বিভাগের তথ্য, দুই উপজেলায় ৭০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে নতুন করে আর বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পানি কমলে ভাঙ্গন মেরামতের কাজ শুরু হবে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৪০০ পরিবারের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ঘর থেকে পানি নামলেও কৃষিজমি ও রাস্তাতে পানি রয়েছে। পানি নিচের দিকে গড়াচ্ছে, ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মালিপাথর, পাগলীর কূল, শালধর, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের বাগমারা, দক্ষিণ টেটেশ্বর, কহুয়া, তালবাড়ীয়া, চারিগ্রাম গ্রাম, মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর, গদানগর, দক্ষিন কাউতলী গ্রামে প্রায় ১৭শ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।