শহর প্রতিনিধি :
গরমের তীব্রতার সঙ্গে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন রোজাদার সহ সব শ্রেণির মানুষ। এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বরফ ও বরফ মিশ্রিত শরবতের চাহিদা কয়েকগুন বেড়েছে। ফেনী শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনীবিতানের সামনে গত কয়েকদিন ধরে আসরের নামাজের পর থেকে এ শরবত কিনতে মানুষের ভীড় দেখা গেছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষ প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তেষ্টা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ডাব, শসা, গাজর ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়। ট্রাংক রোডের রাজাঝির দীঘির পাড় ও জহিরিয়া মসজিদের পাশে ফুটপাতে লাইন ধরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ তৃষ্ণা নিবারনের জন্য বরফ মিশ্রিত শরবত খাচ্ছেন। প্রতিগøাস লেবু শরবত ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া অনেকে চিনি ছাড়া কেউ আবার লবণ ছাড়া শরবত খেয়ে থাকেন।
সাহাব উদ্দিন রিফাত নামে এক যুবক জানান, প্রচন্ড গরম ও রোজায় পানি শূন্যতার ভয় থাকে। সেজন্যই শরবত খাচ্ছি। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকার কারনে শরবত খাওয়ার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এক লেবু মিশ্রিত গøাস ঠান্ডা শরবত খাওয়ার জন্য দোকানটিতে ভিড় করছে মানুষ।
আরিফ নামে এক বিক্রেতা জানান, গরমের সময় ইফতারের পর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ব্যবসা করি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসে ভিড় করে এক গøাস শরবত খাওয়ার জন্য। অনেক সময় এতোটা চাপ পড়ে যায় অনেকে শরবত না পেয়ে চলে যান।
রিকশাচালক বারেক মিয়া জানান, শহরে যেমন গরম পড়ছে একইসঙ্গে শরীরও ঘামাচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই পানির তৃষ্ণা পাচ্ছে। আর এই তৃষ্ণা নিবারণের জন্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য শরবত খেতে হয়। এতে শারিরিক ও মানসিক ভাবে প্রশান্তি অনুভব হয়।
জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বাসা এখানে হওয়ায় প্রতিদিন শরবত খেতে আসি। প্রচন্ড গরমে বন্ধুদের নিয়ে এখানে শরবত খেতে এসেছি। কয়েকটি দোকানে ফ্রিজে ঠান্ডা পানি না পেয়ে বরফের শরবত খেতে হয়।
রাজাঝির দীঘির পাড়ের লেবুর শরবত বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম হওয়ায় তার বেচাকেনা খুব ভালো হচ্ছে। প্রতি গøস ১০ টাকা দামে বরফ মেশানো লেবুর শরবত বিক্রি করেন। ক্রেতার ভিড় বেশি হওয়ায় ছোট ভাইকেও সঙ্গে রেখেছেন।