নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, “সকল ধর্মকে প্রধানমন্ত্রী সমান গুরুত্ব দেন। তিনি মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা চালু করেছেন। কোন ধর্মই অপরাধ শিখায় না। সবাই সততা, ন্যায়-নীতি মানবতা শিখায়। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ধর্মীয় মূল্যবোধ কিংবা ধর্মীয় চর্চার বিকল্প নেই। ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় আচারে রাখা যায় তাহলে সন্তানরা পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।”
ছেলেদের চেয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, “আগে মেয়েদেরকে পরিবার থেকে সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সুযোগ দেয়া হতো না। তারা এখন পুরুষের সাথে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা এখন কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে।”
শনিবার রাতে শহরের ট্রাংক রোড়ের জয়কালী মন্দিরে জাতীয় পর্যায়ে শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অনিল নাথের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জিপি প্রিয়রঞ্জন চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও পূজা উদযাপন পরিষদ সহ-সভাপতি শান্তি রঞ্জন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি রাজীব খগেশ দত্ত, এডভোকেট বিমল শীল, বর্তমান সহ-সভাপতি হীরা লাল চক্রবর্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সমীর চন্দ্র কর, শিব প্রসাদ মজুমদার, জয়কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তপন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের গ্রন্থনা সম্পাদক সুরঞ্জিত নাগ ও দাগনভূঞা উপজেলা কমিটির গ্রন্থনা সম্পাদক নয়ন মজুমদারের সঞ্চালনায় দুই গ্রুপে ক গ্রুপে ৩য় থেকে ৭ম শ্রেণির অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যথাক্রমে বিজয়ী প্রথম অবন্তিকা কর, দ্বিতীয় পুষ্পিতা চক্রবর্তী, তৃতীয় আদ্রিতা শীল, চতুর্থ যুগল সাহা পর্ব, পঞ্চম শ্রেয়া পাল, ষষ্ঠ অপূর্ব দাশ, সপ্তম মালতী নাথ প্রেমা, অষ্টম অন্নি শর্মা, নবম রুপম গুপ্ত, দশম পায়েল দাস, খ গ্রুপে ৮ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যথাক্রমে বিজয়ী প্রথম অনুশ্রী রানী নাথ অর্পিতা, দ্বিতীয় রাজশ্রী বণিক মোহর, তৃতীয় প্রিয়ন্তি রানী ভৌমিক, চতুর্থ অথরা কর্মকার তুষ্টি, পঞ্চম অনন্যা দাস, ষষ্ঠ পলক মজুমদার, সপ্তম অনন্যা সাহা, অষ্টম শ্রাবন্তী রানী নাথ, নবম অর্পিতা কর্মকার ও দশম সাথী নাথ তৃষাকে ক্রেষ্ট, সনদপত্র, গীতা, প্রাইজমানী ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত; বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরা বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেবে। পর্যায়ক্রমে জাতীয়পর্যায়ে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকালে প্রতিযোগিতা শুরু হয়।