নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে বুধবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বেদড়ক পিটুনীতে ছত্রভঙ্গ হওয়ার সময় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাংক রোডে কোটা সংস্কারের দাবীতে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। এসময় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপুর নেতৃত্বে লাঠিসোটা নিয়ে নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা আন্দোলনকারী ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদেরও বেদড়ক পিটুনী দেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বড় বাজারে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে রেজাউল হক নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিছুক্ষন পর শিক্ষার্থীরা ইসলামপুর রোডে বসে কোটা সংস্কারের দাবীতে নানা শ্লোগান দেয়।
এর আগে ১১টার দিকে শহরের তাকিয়া রোডে জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল বের হয়। তারা ট্রাংক রোডে উঠতে চাইলে পুলিশের বাধায় পিছু হটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কে কার ওপর কীজন্য আক্রমণ করেছে আমরা এখনো স্পষ্ট না। বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক তাজিম জানান, সকাল থেকে শহরে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনারে নিয়ে ব্যাগ তল্লাশী করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। তারা জড়ো হলে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলে পড়ে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জনের অধিক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়। এক দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকবে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রহুল আমিন জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার বিষয়টি সঠিক নয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দুইপক্ষকে সরিয়ে দেয়।
এছাড়া শহরের মহিপালে ফ্লাইওভারের নিচে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
প্রসঙ্গত: মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবীতে শহরের ট্রাংক রোডের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মানববন্ধনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।