fenirshomoy logo black


নিজস্ব প্রতিনিধি :

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-সচিব আ.ন.ম নাজিম উদ্দীন বলেছেন, ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বেকারি, সহ সংশ্লিষ্ট খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান মালিক ও কর্মকর্তাদের খাদ্য নিরাপদ রাখাতে প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে।’

গতকাল সোমবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজনে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

আ.ন.ম নাজিম উদ্দীন আরো বলেন, ‘হোটেল-রেস্তোরাঁ সহ সকল পর্যায়ে ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের গ্রহণ করে এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, সরবরাহ কারী কর্মকর্তা, শ্রমিক, ক্রোতা সহ সাধারণ মানুষকে সচেতনতা মূলক নানা প্রদক্ষেপ নিয়েছে। এতে সরকারের সচেতনার পাশাপাশি আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। খাবারের পূর্বে খেয়াল করতে হবে, আমি কোন খাবারটি খাচ্ছি অথবা বাসার জন্য কোন খাবারটি নিচ্ছি তা সঠিক উপায়ে উৎপাদন হয়েছে কিনা সঠিকভাবে রান্না করা হয়েছে কিনা, অথবা সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা। তা হলে আমরা নিরাপদ খাদ্য গ্রহন করতে পারবো। আমরা সকলে কোন না কোনভাবে ভোক্তা এ বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। খারাপ ও ভেজাল খাদ্য ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তা হলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রি বাড়বে। ইতিমধ্যে সরকার খাদ্যের গুনগত মান যাচাই করতে ও সঠিকভাবে রয়েছে কিনা এজন্য ল্যাব স্থাপন ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে খাদ্য পরিক্ষাগার চালু করেছে। যার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে খাদ্যের গুনগতমান পরিক্ষা করা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ বাসায় রান্না করার সময় না থাকায় তারা হোটেল-রেস্তোরাঁ খাবারের উপর নির্ভরশীল। কারন ওই সকল রেস্টুরেন্টে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করে। সেই সকল দেশের মানুষ যদি তাদের দেশের রেস্তোরাঁয় খেতে পারে আমরা কেন পারবো না। সকল শ্রেণীপেশার মানুষ ইচ্ছে করলে এটা সম্ভব হবে। কোয়ালিটি এনশিউর করলে চাহিদা বাড়বে, সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করবে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ শামসুল আরেফিন। আরো বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কনসালটেন্ট মো: আইয়ুব হোসেন। কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা: রুবাইয়াত বিন করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুর আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমেন শর্মা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আল-আমিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মোতালেব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রকৌশলী শরিফ আহম্মেদ আজাদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন, জেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নুর নবী ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার কবির শাহাজাদা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!