শহর প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবন। ভবনের উপরের অংশে লাগানো রয়েছে পাওয়ার জোন জিম সেন্টার নামে একটি সাইনবোর্ড। বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই ভিতরে কি হচ্ছে। কয়েকমাস আগে ভবনটির নিচ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে জিম সেন্টার গড়ে তোলেন শর্শদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন তোফায়েল।
শুক্রবার রাতে র্যাবের অভিযানের সময় দেখা যায়, সেখানে জিমের কিছু উপকরণ রয়েছে। মেঝেতে রয়েছে একটি তোষক। ‘বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা জিম করানো হয়’ এমন প্রচার থাকলেও কোন প্রশিক্ষক রাখা হয়নি শুরু থেকে।
আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, জিম সেন্টারের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এখানে জিম করানো হয় কিনা কারো জানা নেই। প্রতিদিন জিম করতে আসতে কাউকে দেখাও যেতোনা। মাঝেমধ্যে নারী-পুরুষের আনাগোনা দেখা যায়। ব্লাকমেইলিং ও মুক্তিপণের জন্য আটকে রেখে টর্চারের বিষয়টি অনেকে জানলেও ইমতিয়াজ তোফায়েল যুবলীগের নেতা হওয়ায় কেউ ভয়ে বিষয়টি মুখে আনতো না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, এখানে জিম সেন্টার খোলার আগে বিসিক মোড় সংলগ্ন সানি ভবনের পাশে মজুমদার কটেজে বাসা ছিল ইমতিয়াজ তোফায়েলের। দেহ ব্যবসায় ওই কটেজ ব্যবহারের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও কেউ মুখ খুলতো না।
ফেনীস্থ র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, জিম সেন্টারের আড়ালে নানা অপরাধ হতো এখানে। অভিযোগের সত্যতা মেলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।