সদর প্রতিনিধি :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের কসকা ও শর্শদী ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন জেরকাছাড় এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৃথক কাভার্ডভ্যানের চাপায় দুই চালক নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কসকা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানচালক মনির হোসেন গাড়ি থেকে নেমে যান। তখন তার সহকারী কাভার্ডভ্যান নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান। মনির অন্য গাড়িতে ওঠার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় চট্টগ্রামমুখী অন্য আরেকটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মনির কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুলারামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মনিরের শ্বশুর কবির হোসেন বলেন, তাদের বাড়ি সোনাগাজী উপজেলায়। কাভার্ড ভ্যান নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে গাড়িটি সহকারীকে দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য কসকায় নেমেছিলেন। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করে চট্টগ্রামে গিয়ে কাভার্ডভ্যান বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় সেটি আর সম্ভব হলো না।
মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো: রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, সিমেন্টবোঝাই কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদ আলী বাজারের উত্তর পাশে জেরকাছাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি শাহ আলমের (৩৫) পিকআপ ভ্যানটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে পিকআপের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শাহ আলম গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন দ্রæত আহত পিকআপ চালককে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি তিতাস উপজেলার খলিলাবাদে।
মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, অজ্ঞাতনামা ওই গাড়িটি জব্দ করা হয়নি। তবে দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপটি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।