আরিফ আজম :
ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় লালপোল সেতুর নিচে মাটি ধ্বসে যাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এক লেনে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে মহাসড়কের ২৭ কিলোম্টিার এমনকি শহরের প্রধান সড়ক গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়ক ও শহরে যাতায়াতকারী মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে লালপোল সেতুর পূর্ব অংশে নিচে এপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) মাটি সরে গেছে। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক জিও ব্যাগ দিচ্ছেন। ঝুঁকির আশংকায় ব্রীজের দুই পাশে ইউটার্ন সংলগ্ন স্থানে গাছ ফেলে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই লেনের পরিবর্তে ফোরলেনের অন্য লেন দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী গাড়ী চলাচল করছে। কখনো কখনো মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী গাড়ী চলাচল করায় শহরের প্রবেশপথে যানজটের শিকার হতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এক লেন দিয়ে গাড়ী চলাচলের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে। একদিকে মোহাম্মদ আলী ও অপরদিকে লালপোল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী ও মালবাহী পরিবহন বিকল্প সড়ক হিসেবে শহরের ব্যস্ততম ট্রাংক রোড দিয়ে যাতায়াত করছে। এতে করে মডেল থানা থেকে সোনাগাজী বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকা যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন জেল রোড, মিজান রোড সহ আভ্যন্তরীন সড়কে এর প্রভাব পড়ছে।
মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, একদিকে প্রচন্ড গরম অনদিকে ব্রীজের কাজ করতে বিলম্ব হওয়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। কোন গাড়ি বিকল হলে কিংবা উল্টোপথে চলতে গিয়ে যানজটের মাত্রা তীব্র হয়। তখন যানজট সামলাতে মহিপালে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রনে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ৫টি পিকেট দল নিয়োজিত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল জানান, সেতুর নিচের মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আগামী শুস্ক মৌসুমের আগে স্থায়ীভাবে সমাধান করতে আরসিসি প্রটেক্টিভ ওয়াল ও ব্লক নির্মাণের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।