আরিফ আজম :
ফেনীতে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটে আদালতে মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তির হার অনেক বেড়েছে। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৩শ ৭১টি। এজলাস আর ম্যাজিষ্ট্রেট সংকটের পরও প্রতিটি এজলাসে ধাপে ধাপে ম্যাজিষ্ট্রেট পরিবর্তন হয়ে আদালতের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মঙ্গলবার ফেনীর সময় কে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।
ওই সূত্র আরো জানায়, ২০২১ সালের ১৮ জুলাই চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আতাউল হক। তখন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮শ ৯০। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা ৮ হাজার ৫শ ৫০ এ নেমে যায়। এরপর জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে নিষ্পত্তি হয় ১ হাজার ৩শ ৭১টি।
অপর একটি সূত্র জানায়, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সহ জুডিসিয়াল বিভাগে ৯ জনের পদ রয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে যান। এছাড়া একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ট্রেনিংয়ে ও আরেকজন মেডিকেল ছুটিতে রয়েছেন। অপরদিকে চীফ জুডিসিয়াল আদালতে ৩ জন জারিকারক, ১ জন বেঞ্চ সহকারী ও ৩ জন অফিস সহায়কের পদ শূন্য রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হক ফেনীর সময় কে বলেন, মামলা জট নিরসন করতে ম্যাজিষ্ট্রেটগণ প্রানান্ত চেষ্টা করছেন। এর ফলে বিচারপ্রক্রিয়ায় গতিশীলতা ফিরে এসেছে। এজলাস সংকট থাকলেও ম্যাজিষ্ট্রেটগণ পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্বগ্রহণের পর খাদ্য আদালত ও পরিবেশ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিবেশ আদালত ১২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। খাদ্য আদালতও বেশ কিছু ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে।