নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার ঘোষিতে লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও। দীর্ঘক্ষন বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘিœত হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে ইন্টারনেট গ্রাহকরা দারুনভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন। সরকারি-বেসরকারি অফিসসমূহেও অনলাইন ভিত্তিক সেবা বিঘিœত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সরকারের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। ইন্টারনেট সেবা অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। লোডশেডিংয়ের নির্ধারিত শিডিউল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে আইপিএস-ইউপিএস থেকে চাহিদামত সেবা পাওয়া যায়না। বিদ্যুত না থাকলে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা সেবা দেয়া যায়। নিয়মিত লোডশেডিং অব্যাহত থাকলে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
কেএস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ফেনী জেলা সুপারভাইজার শফিকুর রহমান জানান, লোডশেডিং পরিস্থিতিতে জেনারেটরের মাধ্যমে সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে তার দাবী।
ডিজিকম এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন নবী জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ইন্টারনেট গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকরা বিল দিতে চায় না, গড়িমসি করছেন। আগে থেকে ডিজিকম এর একটি জেনারেটর ছিল, লোডশেডিং পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি ৬৭ হাজার টাকা মূল্যের আরেকটি জেনারেটর কেনা হয়েছে। তবুও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রচুর হিমশিম খেতে হচ্ছে।